ফাইনালের আগে হার্দিক পান্ডিয়ার ‘অন্যরকম’ বার্তা

ফাইনালের আগে হার্দিক পান্ডিয়ার ‘অন্যরকম’ বার্তা

সংগৃহীত

২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ খেলেছিল ভারত। ২৮ বছর পর সেবার শিরোপাও জিতেছিল। এরপর স্বপ্নের বিশ্বকাপ ফাইনালে আজ মাঠে নামছে ভারত। স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ এবার অস্ট্রেলিয়া। দুপুর আড়াইটায় আহমেদাবাদ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর এই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এমন ফাইনালের আগে রোহিতদের এক অন্যরকম বার্তা দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। 

চলদি বিশ্বকাপে লিটন দাসের স্ট্রেইট ড্রাইভে বোলিং ফলো থ্রুতে গিয়ে পা দিয়ে আটকানোর চেষ্টায় ইনজুরিতে পড়েন হার্দিক। কেবল একটি বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে হার্দিক ছিটকে যান ম্যাচ শেষে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচা ছাড়লেও আদতে সেদিনই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। 

এরপর থেকে দর্শক হয়েই আছেন। ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখতে হার্দিক হাজির হয়েছিলেন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। নিজে গাড়ি চালিয়ে ঢুকেন স্টেডিয়ামে। বেরও হন নিজে গাড়ি চালিয়ে। নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত আজ ফাইনালের লড়াইয়ে। এ শহরের লোকাল বয় হার্দিক। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সে খেলার কারণে হার্দিকের হোম গ্রাউন্ড এটি। নিজের মাঠে প্রিয় দল খেলছে বিশ্বকাপ ফাইনাল। এমন মঞ্চে হার্দিক নিজে নেই তা মেনে নেওয়া কষ্টকর। 

তবে খেলতে না পারলেও তিনি যে দলের সঙ্গেই রয়েছেন তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন হার্দিক। ম্যাচের আগে দলের জন্য একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। দলের জার্সি গায়ে সেখানে হার্দিক বলেন, ‘বিশ্বকাপ যেন দেশেই থাকে। এই দলের উপর আমি খুব গর্বিত। এখনও পর্যন্ত আমরা যা খেলছি তা এত দিনের কঠিন পরিশ্রমের ফসল। বিশ্বকাপ জেতা থেকে মাত্র এক কদম দূরে আমরা। ছোটবেলা থেকে এই স্বপ্নই আমরা দেখেছি। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ এই স্বপ্ন দেখছেন। তারা সবাই আমাদের পাশে রয়েছেন।’

সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘সব সময় দলের সঙ্গে আছি। আমার মন সব সময় তোমাদের পাশে রয়েছে। রবিবার নিজেদের সেরাটা দাও। তা হলেই আমরা সফল হব। এবার সময় হয়েছে কাপটা দেশে রাখার।’