যশোরে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

যশোরে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি

যশোরের অভয়নগরে স্ত্রীকে হত্যায় আবুল কালাম নামের এক আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ নভেম্বর) যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আবুল কালাম যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাগদা গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত জামশেদ আলীর ছেলে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আসাদুজ্জামান।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জাতপুর আদালীপুর গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের মেয়ে পারুলকে বিয়ে করেন আসামি আবুল কালাম। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও পরে নুর বেগম নামের অপর এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। অভাবের সংসারের স্বামী-সতিনের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো পারুলের।

কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির নিয়মিত শ্রমিক ছিলেন পারুল। মাসে তিনি তিন হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেতেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পারিশ্রমিকের তিন হাজার টাকার মধ্যে দুই হাজার টাকা স্বামীকে দিয়ে বাকি টাকা বাবার মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠানের জন্য রেখে দেন পারুল। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়।

২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে আবুল কালাম এ টাকা নিয়ে স্ত্রী পারুলের সঙ্গে ঝগড়া করেন। একপর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ গোপন করার জন্য পুকুরে পানিতে নারিকেল গাছের শিকড়ের মধ্যে ডুবিয়ে রাখেন আবুল কালাম। পরদিন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আবুল কালামের স্বীকারোক্তিতে পারুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত পারুলের দুলাভাই যশোরের বাঘাপাড়ার আয়াপুর গ্রামের মোনছের সরদাল বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইখতেয়ার হুসাইন ঘটনার সঙ্গে জড়তি আবুল কালামকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। আবুল কালাম স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।