জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন ‘ন্যাচারাল প্ল্যান্ট ফাইবারস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ গ্রহণ করেছে।পাট, তুলা ও সিসাল জাতীয় প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির প্রমাণ এই বিপুল সমর্থন।

বুধবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন বলেছে, যুগান্তকারী উন্নয়ন হিসেবে দেখা রেজুলেশনটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহারকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে।

এটি বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহার ও ব্যবহারের গতি বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সমর্থন, সম্পদ সংগ্রহ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়।রেজুলেশনে প্রাকৃতিক তন্তুকে সিন্থেটিক ও প্লাস্টিক-ভিত্তিক পণ্যের একটি প্রশংসনীয় বিকল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রাকৃতিক তন্তুর উৎপাদন ও ব্যবহার ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে অবদান রাখতে পারে।

২১ নভেম্বর রেজুলেশনটি উত্থাপনের সময় নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি এটি শক্তিশালীকরণ ও ঐকমত্য অর্জনে সক্রিয় সম্পৃক্ততা, নমনীয়তা ও অবদানের জন্য সকল প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর পরিপূরক ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ প্রতিনিধি রেজুলেশনের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।বাংলাদেশ ২০১৯ সালে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে প্রথম এই রেজুলেশনটি উত্থাপন করে এবং তারপর থেকে জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলো দ্বিবার্ষিকভাবে এই রেজুলেশনটি গ্রহণ করে আসছে।

সূত্র : ইউএনবি