বরিশালে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানি

বরিশালে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানি

ফাইল ছবি।

বরিশালের বাবুগঞ্জ ও বানারীপাড়া উপজেলায় অগ্নিদগ্ধ, ইজিবাইক চাপায় ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিনজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুই উপজেলার পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

 

নিহতরা হলেন- উজিরপুরের পূর্ব ধামসর গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের মেয়ে রুমানা আক্তার (১৭), বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের তালতলা এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেনের শিশুকন্যা মুসলিমা (৬) ও একই উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মন্নান হাওলাদের ছেলে চান মিয়া (৪৫)।

নিহতদের মধ্যে নববধূ আগুনে দগ্ধ হয়ে, এক শিশু ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চাপায় ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

রুমানার চাচা জাহিদ হোসেন জানান, রুমানা ছয় মাস আগে বাবুগঞ্জের দেহেরগতি ইউনিয়নের দেহেরগতি গ্রামের হাকিম খন্দকারের ছেলে এক মেয়ের জনক সাগর খন্দকারকে (৩০) পালিয়ে বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন রুমানা। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার হলে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুমানা।

বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কান্তি মণ্ডল জানান, রুমানার ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। সেখানে ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে হত্যার আলামত কিংবা অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এদিকে শুক্রবার দুপুরে বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়ন থেকে ছেড়ে আসা ইজিবাইক তালতলা এলাকা অতিক্রম করছিল। এসময় রাস্তা পার হতে গিয়ে শিশু মুসলিমা ওই ইজিবাইকচাপায় গুরুতর হয়। শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন দুপুরে বানারীপাড়া উপজেলার দাণ্ডুয়াট এলাকায় সুপারি পাড়তে গাছে ওঠেন চাঁন মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তার ভারে গাছ নুয়ে পড়ে বিদ্যুতের তারে গিয়ে পড়ে। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গাছ থেকে নিচে পড়ে যান চাঁন মিয়া। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী এসব ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।