আগাম লবণ উৎপাদনে মাঠে চাষিরা

আগাম লবণ উৎপাদনে মাঠে চাষিরা

সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় হামুন ও মিধিলির পর আবার মাঠে নেমেছেন কুতুবদিয়ার লবণ চাষিরা। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে লবণ উৎপাদনে জোরেশোরে চলছে প্রস্তুতি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বড় ধরনের ক্ষতি না হওয়ায় দ্রুত সময়েই মাঠ তৈরি করতে পারছেন চাষিরা। খরচও হচ্ছে কম।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন-বিসিক কুতুবদিয়া সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এ উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টন। এ ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৫ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। 

চলতি অর্থ বছরে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে লবণ চাষ শুরু হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয় লবণচাষিরা জানান, গত বছর তারা লাভবান হয়েছেন। ফলে এবার অনেকে পুরানো পেশায় যুক্ত হয়েছে। লবণের দাম বেশি হওয়ায় মাঠের মূল্যও বেশি দিতে হচ্ছে। 
উপজেলা প্রেস ক্লাব কুতুবদিয়ার সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান হিরো জানান, আগাম লবণ উৎপাদনে চাষিরা মাঠে নেমেছেন। গত বছর লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল। এবার সেই রেকর্ডও ভাঙতে পারে। 

বিসিক কুতুবদিয়ার লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা হাফেজ জাকের হোছাইন বলেন, চলতি বছর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে লবণ চাষ করা হচ্ছে। চাষিরা নিজেদের জমি বা বর্গা নিয়ে লবণ চাষ করেন। এবার বিসিকের ৮৪.৫২ শতাংশ জমি লিজ নিতে ৫ হাজার ৬৫০ জন আবেদন করেন। লটারি পদ্ধতিতে ৬৮ জন চাষিকে এ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে, লবণ ঘাটতির আশঙ্কায় সরকার ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টন আমদানির অনুমোদন দেওয়ায় চাষিরা হতাশ হয়েছেন। এ শিল্পকে বাঁচাতে লবণ আমদানি না করার দাবি জানান তারা।