ইইউ না দিলেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে স্পেন

ইইউ না দিলেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে স্পেন

ইইউ না দিলেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে স্পেন

ইসরাইলের নির্বিচার হামলা চলছে গাজায়। এ ইস্যু নিয়ে বিভক্ত বিশ্ব রাজনীতি। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে- ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বীকৃতি দিক আর নাই দিক মাদ্রিদ একতরফাভাবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক বন্দী চুক্তি ও চার দিনের যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট ছিল না একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

সানচেজ শুক্রবার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মিশরের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি মনে করি যে- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য দেশগুলোর জন্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার সঠিক সময় এসেছে।’সানচেজ বলেন, আদর্শভাবে অন্তত কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বীকৃতিটি একবারে আসবে।সানচেজ আরো বলেন, ‘কিন্তু যদি এটি না হয়, অবশ্যই, স্পেন তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে।’বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও মিশর সফরের অংশ হিসেবে সানচেজের সাথে যোগ দেন।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাসের হাতে বন্দীদের মুক্ত করাকে তারা প্রথমে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন এরপর গাজা উপত্যকায় মানবিক সঙ্কট প্রশমনে তারা সহায়তা করবেন।এর আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া তার আসন্ন মেয়াদে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ১৩ ইসরাইলি ও ৩৯ ফিলিস্তিনির মুক্তির পর শনিবার ১৪ ইসরাইলির মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ৪২ ফিলিস্তিনির মুক্তি দেয় ইসরাইল।জানা গেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ।

গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।

এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ