৮০০ টাকার খাবার কিনতে গিয়ে ৮ লাখ টাকা গায়েব!

৮০০ টাকার খাবার কিনতে গিয়ে ৮ লাখ টাকা গায়েব!

ছবিঃ সংগৃহীত।

রেস্তোরাঁয় খাওয়া শেষে ওয়েটার কিংবা পরিবেশনকারীকে টিপস বা বকশিশ দেওয়ার রীতি সব দেশেই রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সাবওয়ে’ রেস্তোরাঁয় স্যান্ডউইচের দাম পরিশোধের সময় বকশিশ দিতে গিয়ে মারাত্মক বিপদে পড়েন ভেরা কোনার নামক এক নারী। ভুলবশত সাত হাজার ডলারেরও বেশি বকশিশ দিয়ে বসেন তিনি।

 

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে সেই অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা জানান জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা কোনার। তিনি জানান, গত ২৩ অক্টোবর তিনি স্থানীয় সাবওয়ে রেস্তোরাঁয় একটি ইতালিয়ান সাব-স্যান্ডউইচ অর্ডার করেন, যার দাম ছিল ৭ দশমিক ৫৪ মার্কিন ডলার। কিন্তু বিল পরিশোধের সময় নিজের অজান্তেই ৭ হাজার ১০৫ দশমিক ৪৪ ডলার বকশিশ দিয়ে দেন।

বাংলাদেশি মুদ্রার হিসাবে, ৮৩০ টাকা মূল্যের একটি স্যান্ডউইচের জন্য তিনি ৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা বকশিশ দিয়েছেন কোনার। এ অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যাংক অব আমেরিকার একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছিলেন কোনার। সে সময় তিনি টাকার অংক না লিখে, ভুলবশত নিজের ফোন নম্বরের শেষ ছয়টি অঙ্ক লিখে বসেন। তিনি ভেবেছিলেন, অনলাইনে পেমেন্টের মাধ্যমে ‘সাবওয়ে লয়ালটি পয়েন্ট’ পেতে যাচ্ছেন।

কিন্তু ভুল সংখ্যা প্রবেশ করানোর পরপরই স্ক্রিনটি পরিবর্তিত হয়ে যায় ও সংখ্যাটি বকশিশ হিসেবে কেটে নেওয়া হয়। সপ্তাহের শেষে যখন কোনার তার ক্রেডিট কার্ডের ডিজিটাল বিবরণী দেখেন, তখন তার চোখ কপালে উঠে যায়। দেখেন ৭ হাজারেরও বেশি ডলার কেটে নেওয়া হয়েছে তার অ্যাকাউন্ট থেকে।

এনবিসিকে কোনার আরও বলেন, আমি যখন আমার রিসিটের দিকে তাকালাম, তখন সংখ্যাটি পরিচিত মনে হলো। পরে দেখি, এটি আমার ফোন নম্বরের শেষ ছয়টি অঙ্ক।

প্রাথমিক ধাক্কা সামলানোর পর কোনার তার ব্যাংকে অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়ে অভিযোগ জমা দেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ব্যাংক তার আবেদনে সাড়া দেয়নি।

 

ব্যাংক থেকে পাঠানো চিঠিতে অপারগতার পেছনে কোনো কারণও উল্লেখ করা হয় না। তখন সমস্যা সমাধানের জন্য আবারও সাবওয়েতে যান কোনার। কিন্তু ব্যাংককেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে জানিয়ে দেন সেখানকার ম্যানেজার। তারপর কোনার পুনরায় ব্যাংকে অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবি জানান। এক মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে গত সোমবার (২০ নভেম্বর) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ব্যাংক অব আমেরিকার এক মুখপাত্র দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, সাবওয়েকে আমরা কোনারের টাকা ফেরত দিয়ে দিতে বলেছি। সাবওয়ে আমাদের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এটি অবশ্যই আমাদের জন্য স্বস্তির খবর।