স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি থেকে না ফেরায় প্রাণ দিলেন স্বামী

স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি থেকে না ফেরায় প্রাণ দিলেন স্বামী

ছবিঃ সংগৃহীত।

ভৈরবে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী না আসায় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী ছিদ্দিক মিয়া (২৬)।তিনি পৌর শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকার শহর আলী মিয়ার ছেলে।

 

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে পৌর শহরের ঘোড়াকান্দা মেইল গেইট এলাকায় সৈকত মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে ঘোড়াকান্দা এলাকার শহর আলীর ছেলে ছিদ্দিক মিয়ার সঙ্গে বাজিতপুর উপজেলার পোড়াকান্দা এলাকার নূর ইসলামের মেয়ে শামসুন্নাহার বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। ছিদ্দিক মিয়া মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদক সেবনের পর মা ও স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া করতেন। ১৫ দিন আগে স্বামীর কাজকর্ম করতে চাননা বলে বাবার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী শামসুন্নাহার। স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে মায়ের সঙ্গে প্রায়ই কথা কাটকাটি ও ঝগড়া হতো তার।

 

এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই রফিক বলেন, ছিদ্দিক ঠিকমতো কাজকর্ম করতেন না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। আমার বোনের সংসারে আর্থিক সংকট ছিল। তাই বোন বিয়ের পর থেকেই আমাদের বাড়িতে থাকতো। তবে শামসুন্নাহারের যখন ভালো লাগতো তখন শ্বশুরবাড়িতে যেতো।

এ বিষয়ে নিহতের মা রাশেদা বেগম জানান, সোমবার বিকেল ৩টায় আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রিকশা চালানোর কাজে যায়। মঙ্গলবার রাত তিনটায় বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। সকালে দিকে আওয়াজ শুনে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি বাঁশের ধর্ণায় ঝুলে ছিদ্দিক ছটফট করছে। সঙ্গে সঙ্গে দড়ি থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার মুহূর্তে ছেলের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে ভৈরব শহর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে আসি। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।