রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে কপ ২৮ দুবাই

রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে কপ ২৮ দুবাই

সংগৃহীত

বিশ্ব উষ্ণায়ণ থেকে ধরিত্রীকে রক্ষায় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পর্দা উঠছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন কপ২৮। চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এরইমধ্যে বিশ্ব নেতাদের থেকে শুরু করে সর্বস্তরের অংশগ্রহণকারীদের বরণ করে নিতে অনুষ্ঠানস্থল দুবাইয়ের এক্সপো সিটি পরিপাটি স্বরূপে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অনেক বিশ্ব নেতাই এবার সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না। থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ব্রিটেনের রাজা চার্লসসহ অনেকেই।

সবমিলিয়ে বিশ্বের ১৫০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগন এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া চীনসহ অনেক প্রভাবশালী দেশের প্রধান ছাড়া সারা বিশ্বের ত্রিশ হাজারেরও বেশি সরকারি, বেসরকারি প্রতিনিধি, পরিবেশবাদী সংগঠন, সাংবাদিকরা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।

একটি বৃহত্তম জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশে কপ-২৮ সম্মেলনের আয়োজনের বিরোধিতা করে আসছে পরিবেশবাদী সংগঠন ও বিশেষজ্ঞরা। তাদের এই প্রতিবাদের মধ্যেই কপ-২৮ এর সভাপতি করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী ড. সুলতান আল-জাবেরকে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশে খরা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে একটি তহবিল গঠন চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে। ইতোমধ্যে এর খসড়া তৈরি হয়েছে। তবে সম্মেলনে সেটি অনুমোদন পেতে হবে।

বলা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ সেন্টিগ্রেডের বেশি বৃদ্ধি রোধ করতে প্যারিস চুক্তির যে লক্ষ্য রয়েছে তা ‘ছিনতাই’ হয়ে যেতে পারে। এ যাবতকালে অনুষ্ঠিত সবগুলো জলবায়ু সম্মেলনের চেয়ে বেশি জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে কপ-২৮ দুবাই।

বাংলাদেশ থেকেও প্রায় দু’ শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধি দল এ সম্মেলনে যোগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতির শিকার হওয়া দেশটি ক্ষতিপূরণের জন্য জোর দাবি তুলবে। গত বছর মিশরের শার্ম আল শেখে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হওয়া ‘লস এ্যান্ড ড্যামেজ’ ইস্যুটি বাস্তবায়নের জোর দাবি তুলবে বাংলাদেশসহ ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরাম-সিভিএফভুক্ত দেশগুলো।

এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত, নাকি জলবায়ুর ওপর এসব শিল্পের প্রভাব কমাতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেয়া উচিত, তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন রয়েছে। সম্মেলনে সেই বিভাজন আরও স্পষ্ট হতে পারে। আলোচনা হবে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে বিভিন্ন দেশ যেসব অঙ্গীকার করেছে তা বাস্তবায়ন কতদূর তা নিয়েও।

অন্যদিকে, ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার তিনগুণ বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ লক্ষ্যে সম্মেলন চলাকালে একটি চুক্তি হতে পারে তাদের সঙ্গে। রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা বলেন, ১০০-র বেশি দেশ এই চুক্তির পক্ষে আছে। তবে চীন ও ভারত এখনও পুরোপুরি এর পক্ষে তাদের সমর্থন জানায়নি।