গাজায় সপ্তম দফায় মুক্তি পেলেন ৩৮ জন

গাজায় সপ্তম দফায় মুক্তি পেলেন ৩৮ জন

সংগৃহীত

হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে সপ্তম দফায় এই ৩০ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই নাবালক। অন্যদিকে হামাস গাজা থেকে আরও ৮ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। 

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে বলে ইসরাইলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চূড়ান্ত পর্যায়ে ওই ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এএফপি বলছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস তাদের হাতে আটক ৮ ইসরাইলি বন্দিকে মুক্ত করার কয়েক ঘণ্টা পর এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত এই ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মধ্যে ২৩ জন নাবালক ও সাতজন নারী।

এর আগে গাজা উপত্যকায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা ইসরাইলি দুই নারীকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ওই দুই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে।

তারা হলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে কনসার্ট থেকে অপহৃত ২১ বছর বয়সি মিয়া চেম এবং ৪০ বছর বয়সি অমিত সোসানা। মিয়া চেমের ইসরাইলের পাশাপাশি ফরাসি নাগরিকত্বও রয়েছে।

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের পর আরও ছয়জন বন্দিকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে বলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। হামাসের হাত থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৯ থেকে ৪১ বছর বয়সি চারজন নারী রয়েছেন, যার মধ্যে একজন মেক্সিকান-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের মাঝে প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয় গত ২৪ নভেম্বর। পরে চুক্তির শেষ দিনে তা আরও দুদিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়। এর পর আরও একদফায় এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আজ শুক্রবার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

ইসরাইল আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়া মাত্রই আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু করা হবে।