মেসির বিশ্বকাপজয়ী ৬ জার্সি নিলামে উঠল

মেসির বিশ্বকাপজয়ী ৬ জার্সি নিলামে উঠল

ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসির জার্সির নিলাম শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত নিলামঘর ‘সোথবি’ মেসির মোট ৬টি জার্সি নিলামে তুলেছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ৫.২ মিলিয়ন বিটে শুরু হয় নিলাম প্রক্রিয়া। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে নিলামের কার্যক্রম।

ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে নিয়ে আগ্রহের সীমা নেই ভক্ত-সমর্থকদের। প্রিয় তারকাকে একবার ছুঁয়ে দেখার আকুতি রয়েছে বিশ্বের লক্ষ-কোটি সমর্থকের। তবে মেসিকে স্পর্শ করতে না পারলেও তার জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত নিলামঘর সোথবি।

মেসির ২০২২ বিশ্বকাপের ৬টি জার্সি নিলামে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। যার মধ্যে ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে পরিহিত জার্সিসহ রয়েছে সেমিফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনাল, রাউন্ড অব সিক্সটিন ও গ্রুপ পর্বের জার্সি। প্রতিটি জার্সি পরে ম্যাচের প্রথমার্ধ খেলেছেন এলএমটেন।

এ প্রসঙ্গে সোথবির মর্ডান কালেকশন বিভাগের প্রধান ব্রাহাম ওয়াচার বলেন, ‘এগুলো সবই মেসির পরা জার্সি। ম্যাচগুলোর প্রথমার্ধে এই জার্সি পরেছিলেন তিনি। আপনি যদি কাছ থেকে খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন এগুলোর ওপর ময়লা লেগে আছে। জার্সিগুলো যে আসল এবং এগুলো তার কাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে, এটা তার প্রমাণ’।

কাতার বিশ্বকাপে রাউন্ড অব সিক্সটিনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল মেসির হাজারতম ম্যাচ। তাই সবগুলো জার্সির মধ্যে এটি পাচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব, ‘মজার বিষয় হলো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে ম্যাচটি মেসি খেলেছিলেন সেটি তার ক্যারিয়ারের এক হাজারতম ম্যাচ। শুনে অবাক লাগলেও সেটি এখন আমাদের এই সেটে রয়েছে। যা দারুণ ব্যাপার’।

এর আগেও প্রতিষ্ঠানটি নিলামে তুলেছিল আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ‘হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত জার্সি। ৯.৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল ঐ বিখ্যাত জার্সিটি। এবার আরেক আর্জেন্টাইন তারকার জার্সি নিলামে তুলে রোমাঞ্চিত তারা। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, মেসির জার্সির মূল্য ছাড়িয়ে যাবে ম্যারাডোনার জার্সিকেও।

জার্সির মূল্য নিয়ে ওয়াচার বলেন, ‘আমরা এই জার্সিগুলোর মূল্য ১০ মিলিয়নের বেশি আশা করছি। আমরা নিলাম শুরু করার জন্য ৫ দশমিক ২ মিলিয়ন বিড পেয়েছি। আমরা উচ্ছ্বসিত’।

এই নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ দান করা হবে ইউনিকাস প্রকল্পে। যা মেসি ফাউন্ডেশনের শিশুদের চিকিৎসা বিষয়ক একটি প্রজেক্ট।