দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে আরও বহিষ্কার

দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে আরও বহিষ্কার

ফাইল ছবি

সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এজন্য দলটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এ অবস্থায় ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এরপর বিএনপির কয়েকজন নেতা নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এসব নেতাসহ কেন্দ্রীয় ও জেলাপর্যায়ের অন্তত ১৬ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়। দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে বহিষ্কারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এজন্য বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

সবশেষ শনিবার সকালে বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানায় বিএনপি।

বহিষ্কার হওয়া কেন্দ্রীয় আট নেতা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, তাঁতী বিষয়ক সহ-সম্পাদক রাবেয়া ভূঁইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।

বহিষ্কৃত জেলা-উপজেলা পর্যায়ের আট নেতা

শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন, জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হোসেন রেজা বাবু, বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ।

এদিকে ৩০ নভেম্বর শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে নতুন নিবন্ধিত বিএনএমে যোগ দিয়ে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-৪ আসনে এবং মতিউর রহমান মন্টু রাজশাহী-৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এছাড়া ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠন করে খন্দকার আহসান হাবিব টাঙ্গাইল-৫ আসনে এবং একেএম ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্রাক্ষণবাড়িয়া-১ আসনে এবং শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বহিষ্কৃত জেলা নেতাদের মধ্যে বিএনএম থেকে মো. আবদুল্লাহ শেরপুর-১ আসনে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আবদুল মতিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, তৃণমূল বিএনপি থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল শেরপুর-২ আসনে ও পঞ্চগড়ের আব্দুল আজিজ পঞ্চগড়-২ আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেওয়ানগঞ্জের মাহবুবুল হাসান জামালপুর-১ আসনে এবং ধামরাইয়ের দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ঢাকা-২০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। রাবেয়া সিরাজ তার মেয়ে শুল্কা সিরাজ টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।