শীতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবেন কোন খাবার

শীতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবেন কোন খাবার

সংগৃহীত

শীতকাল মানেই খাওয়াদাওয়ার মৌসুম। এ সময় বিয়েবাড়ি, পিকনিক, বড়দিন, নিউ ইয়ার একের পর এক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। আর এসব অনুষ্ঠান মানে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। সব মিলিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যাপারটা মোটেই ভালো নয়। শীতের বাহারি খাবারদাবারের চাপে বেড়ে যায় রক্তের শর্করার মাত্রা। তাই এই সময় ডায়াবেটিস রোগীদের সাবধানে থাকা জরুরি। 

শীতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন যেসব খাবার-

সবুজ শাকসবজি: শীতে শরীরের যত্ন নেয় সবুজ শাকসব্জি। পালং শাক এবং পাতাকপির মতো শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, খনিজ, ভিটামিন থাকে। এই সব শাক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

ফুলকপি এবং ব্রকোলি: শীতকালীন ডায়েটে অবশ্যই রাখুন ফুলকপি এবং ব্রকোলির মতো সবজি। ফাইবার সমৃদ্ধ এই সব সবজি হজমশক্তি বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। 

মিষ্টি আলু:  মিষ্টি আলু এবং গাজরের মতো সবজি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। তাই পুষ্টিকর এই সবজিগুলি অবশ্যই শীতকালীন ডায়েটে রাখুন। ও

বাদাম এবং বীজ : বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আখরোট, কাঠবাদাম এবং চিয়া বীজে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন। ভিতর থেকে শরীর ফুরফুরে রাখতেও এই খাবারগুলির জুড়ি মেলা ভার।

মসলা: দারুচিনি এবং হলুদের মতো বেশ কিছু মসলা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ওষুধের মতো কাজ করে। এগুলিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহজনিত যে কোনও সমস্যার সমাধান করে। সেই সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও দারুণ কার্যকর । 

ফ্যাটি ফিস : শীতকালীন ডায়েটে স্যামন, টুনা, সার্ডিনের মতো ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন। এই সব সামুদ্রিক খাবার হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও দারুণ কার্যকর। 

কমলালেবু : ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, বিটা-ক্যারোটিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো পুষ্টিগুণে ভরপুর কমলালেবু। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল অত্যন্ত উপকারী। রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এর পাশাপাশি হজমশক্তিও বাড়ায় কমলালেবু।