সিংড়া মেয়রের পাজেরোসহ আগুনে পুড়ল ১৩ গাড়ি

সিংড়া মেয়রের পাজেরোসহ আগুনে পুড়ল ১৩ গাড়ি

সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়া পৌরসভার গ্যারেজে রাখা মেয়রের পাজেরো জিপ, ১১টি পরিবেশবান্ধব ই-রিকশা (চলো) গাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়াও একটি চলো অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস গাড়ির আংশিক পুড়ে গেছে।

মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে সিংড়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের সদস্যদের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ সময় গ্যারেজ থেকে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে ওই গ্যারেজের ঘুমন্ত নৈশপ্রহরী মহাতাব উদ্দিন (৫৫) আহত হয়েছেন।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিংড়ার ইউএনও মাহমুদা খাতুনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

সিংড়া পৌরসভা, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টায় সিংড়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারসংলগ্ন পৌরসভার চলো অ্যান্ড অ্যাম্বুলেন্স ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের গ্যারেজে আগুনের শিখা দেখতে পান ভেতরে থাকা নৈশপ্রহরী। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন করেন।

খবর পেয়ে সিংড়া ও নাটোর থেকে আলাদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে; কিন্তু তার আগেই মেয়রের ব্যক্তিগত ব্যবহৃত জিপ গাড়িসহ ১১টি চলো সার্ভিসের গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এছাড়াও বারান্দায় রাখা আরও একটি চলো অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস গাড়ির আংশিক পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ভোর রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস।

সিংড়া ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, সেখানে চলো গাড়িগুলোর ব্যাটারি চার্জে দেওয়া থাকে। দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আর ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়।

চলো সার্ভিস পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত শাহরিয়ার উদ্দিন সিহাব বলেন, প্রতিদিনের মতো রাতে নৈশপ্রহরীকে রেখে বাড়িতে চলে যান। পরে ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

আর সিংড়া পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিনয়ক চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত মনে হলেও বিষয়টি সঠিক তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে এ অগ্নিকাণ্ডে মেয়রের পাজেরো স্পোর্টস গাড়িসহ ১৩টি গাড়ি পুড়ে গেছে।

সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত জানা গেলেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আগুন লাগার বিষয়টি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে দেখছেন। আর ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে এই চলো সার্ভিসের সাথে অনেকের জীবিকা পুড়ে ছাই হয়েছে।