চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় মানুষের মরদেহ

চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় মানুষের মরদেহ

সংগৃহীত

বাঘের খাঁচার ভেতর এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে পাকিস্তানের একটি চিড়িয়াখানায়। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে দেশটির পাঞ্জাবের পূবাঞ্চলীয় এলাকা ভাওয়ালপুরে শেরবাগ চিড়িয়াখানায় এ ঘটনা ঘটেছে। চিড়িয়াখানার কর্মীরা সেখানে থাকা ৪টি বাঘের একটির মুখে মানুষের জুতা দেখে বিষয়টি বুঝতে পারেন।

ভাওয়ালপুর সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা জাহির আনওয়ার বলেন, কর্মীরা চিড়িয়াখানা পরিষ্কার করার সময় বিষয়টি বুঝতে পারেন। তারা বাঘের মুখে একটি জুতা দেখতে পান। তিনি বলেন, স্টাফ বিষয়টি দেখতে পেয়ে অবাক হয়ে যান। পরে তিনি খাচায় মানুষের মরদেহ দেখতে পান।

আনওয়ার বলেন, বিষয়টি দেখে মনে হচ্ছে কোনো মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের কাজ হবে এটা। কেননা কোনোভাবে সুস্থ বা সজ্ঞানে থাকা কেউ বাঘের খাঁচায় ঝাঁপ দেবে না। আমাদের খাঁচাগুলো অনেক নিরাপদ। তবে খাঁচার পেছনে সিঁড়ি রয়েছে। হয়তো সেখান থেকে লাফ দিয়ে লোকটি প্রবেশ করেছেন।

তিনি বলেন, চিড়িয়াখানার সকল স্টাফ ঠিকঠাক রয়েছেন। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পা গভীরভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।

জাফরুল্লাহ নামের এক উদ্ধারকারী কর্মকর্তা বলেন, লোকটি কীভাবে সেখানে প্রবেশ করেছিলেন সেটি স্পষ্ট নয়। মরদেহটি উদ্ধারের আগে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে ছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ফরেনসিক বিভাগ লোকটির মরদেহ পরীক্ষা করছে।

পাঞ্জাবের এ চিড়িয়াখানার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বন্যপ্রাণী বিভাগ। এ ঘটনার বিষয়ে সেখানকার কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

১৯৪২ সালে চিড়িয়াখানাটি নির্মাণ করেছিল বাহাওয়ালপুরের তৎকালীন রাজপরিবার। পাকিস্তানের চিড়িয়াখানাগুলোর অবস্থা খুব বেশি ভালো নয় এবং প্রায়ই সেসবের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণীর সুরক্ষার ব্যাপারগুলো উপেক্ষা করার অভিযোগ ওঠে।