প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মাহি বি চৌধুরী

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মাহি বি চৌধুরী

বিকল্পধারার (বিডিবি) যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (মাহি বি চৌধুরী)

মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারার (বিডিবি) যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (মাহি বি চৌধুরী) মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের শুনানি শেষে তার আপিল মঞ্জুর করে প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

শুনানি শেষে বেরিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে আরও বেশি উৎসবমুখর পরিবেশে ও আরও বেশি কোয়ালিফাইড নির্বাচন হতো।

৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলেও সরকার বেশিদিন টিকবে না বলা হচ্ছে। আপনি কী মনে করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন হয়েই যাবে কি না বিষয়টা এ রকম না। নির্বাচনটা আসলে হয়েই যাচ্ছে, হয়েই যাবে। নির্বাচন না হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। তবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হলো সেটা নির্বাচন হওয়ার পরে বলা যাবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তীতে বলা যাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়। ভোটার উপস্থিতি কেমন হয়, নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখা যায় কি না, কমিশন কেমন কাজ করে, সবকিছু নির্ভর করছে এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। সরকার কীভাবে দেশ চালাবে, কতদিন চলবে এসব নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমানে এমন কোনো পরিস্থিতি নাই যে নির্বাচন হবে না, আবার নির্বাচন হলে সরকার পড়ে যাবে সে রকমও দেখছি না।

সামগ্রিকভাবে নির্বাচন নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী জানতে চাইলে মাহি বি চৌধুরী বলেন, আমি অনেক বেশি আশাবাদী। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। আমাদের দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে মানুষ খুব বেশি আশা প্রকাশ করে না। ৭ তারিখের পরে দেখা যাবে, বোঝা যাবে, আমরা বলতে পারবো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ভবিষ্যতে সম্ভব কি সম্ভব না। সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে।

এর আগে তো আরও দুটি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, সেই দুই নির্বাচন কি ভালো হয়নি? জানতে চাইলে মাহি বি চৌধুরী বলেন, গত দুটি নির্বাচন ভালো হয়নি। গত দুটি নির্বাচন যেসব কারণে ভালো হয়নি সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এই নির্বাচন কমিশন ও সরকার শুভ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এটা প্রত্যাশা করি। কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ হবে সেটা ৭ জানুয়ারি পরে বলা যাবে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন ৮ হাজারের বেশি নির্বাচন পরিচালনা করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো বিতর্ক নির্বাচন করেনি। যেখানে অনিয়ম দেখেছে সেখানেই তারা পদক্ষেপ নিয়েছে।

এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না জানতে চাইলে বলেন, এই পুরো জিনিসটি নির্ভর করে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। আমার কাছে মনে হয় আমি আশা ও প্রত্যাশা করছি এই নির্বাচন কমিশনের ও সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সদিচ্ছা রয়েছে। সেটা কতটুকু সফল হলো তারা আসলেই কী করবেন সেটার জবাব ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে দেওয়া সম্ভব না।