ভবিষ্যতেও দুই দেশের বন্ধুত্ব অক্ষুণ্ন থাকবে : ভারতীয় হাইকমিশনার

ভবিষ্যতেও দুই দেশের বন্ধুত্ব অক্ষুণ্ন থাকবে : ভারতীয় হাইকমিশনার

ছবিঃ সংগৃহীত

ভবিষ্যতেও দুই দেশের বন্ধুত্ব অক্ষুণ্ন থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকেই ভারত সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেয়। বাংলাদেশ-ভারত যেভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করে এগিয়ে গেছে, সেভাবেই সামনে এগিয়ে যাবে। একাত্তরের মতো ভবিষ্যতেও দুটি দেশের বন্ধুত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে মিট দ্যা সোসাইটি শীর্ষক বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

 

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সহায়তায় অগ্রাধিকার দেওয়া ভারতের নীতি এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভারতের অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘মহামারি, সন্ত্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ভারত ও বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে একত্রে কাজ করেছে। জাতীয় উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা দুই দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও জনগণের মধ্যে সুদৃঢ় যোগসূত্র স্থাপন করতে চাই। ’

 

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একাত্তরের ১৪ আগস্টের দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরে বক্তব্য দেন শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন, শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও মেজর জেনারেল মুহম্মদ আলী শিকদার।

 

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ দুঃখের, অর্জনের, বীরত্বের কাহিনী।

তবে সব বুদ্ধিজীবীর নাম কি এসেছে? মমিনুদ্দিন, আশরাফরা তো বাকি আছে। দুঃখ আরও বড় হয় যখন রাজাকার-আলবদরই এ দেশের মন্ত্রী হয়। ’ 

এ সময় স্মৃতিকাতর হয়ে কান্নারত কণ্ঠে নিজের বাবার কথা বলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।  

 

পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঙালি তলিয়ে যেতে যেতে জেগে ওঠে। এমনই বাঙালির সংস্কৃতি, ধর্ম।

 

অর্জনের পথ ধরে হেঁটেছি। চলতে চলতে মরে গেছি। শেষ যেদিন বর্ডার ক্রস করলাম চোখে জল এসেছিল। মনে হয়েছে মাকে ফেলে এসেছি। আমার দেশ আমার কাছে মা। ’ 

তিনি বলেন, ‘আমাকে যিনি পার করিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন এক মসজিদের ইমাম। আমি পথে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম, তিনিই আমাকে সুস্থ করে পার করিয়ে দেন। সে সময় কিন্তু অনেক বেশি মসজিদ-মাদ্রাসার শিক্ষকদের মারা হয়েছিল, কারণ তারা পাকিস্তানিদের পক্ষে ছিল না। ’

 

পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই লেখার কাজটি খুব কম করেছি। ছেঁড়া ছেঁড়া করেছি। কিছু চলচ্চিত্র করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটা শিল্প হয়নি। অনেক বেশি কাজ করা দরকার। ’