বিজয়ের উদযাপনে বর্ণিল ঢাবি

বিজয়ের উদযাপনে বর্ণিল ঢাবি

সংগৃহীত

একাত্তরে জাতীর বীরেরা যে উপহার পুরো দেশকে দিয়ে গেছে সেই আনন্দঘন মুহূর্ত  উদযাপনে মেতেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। দীর্ঘ ৯ মাসের আত্মত্যাগের অর্জনকে স্বরণ করতে প্রতি বছরের মতো এবারও পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা করেছে প্রশাসন। এতে সন্ধ্যার পর থেকেই রাতের ক্যাম্পাস বিজয়ের সাজে সেজে অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করেছে। 

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল, কলা ভবন, ভিসি চত্বর (স্মৃতি চিরন্তন) এবং বিভিন্ন আবাসিক হলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান বা স্থাপনাগুলো মনকাড়া সাজে সজ্জিত হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন পেশার লোকজনকে ক্যাম্পাসজুড়ে আলোকসজ্জার ব্যাকগ্রাউন্ডে মনের আনন্দে ছবি তুলতেও দেখা যায়।

মহান বিজয় দিবসে উপলক্ষে শনিবার সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে উপাচার্য ভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত হয়ে সকাল ৬টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

এছাড়া সকাল ১০টা থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘বাঁধন’-এর উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছায়ানটের যৌথ উদ্যোগে সঙ্গীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। 

সন্ধ্যা ৭টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহান ভাষা আন্দোলন এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র, তথ্যচিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শিত হবে।

দিবসটি উপললক্ষে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ, মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল এবং আবাসিক এলাকার মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।