শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট হবে : ইসি আলমগীর

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট হবে : ইসি আলমগীর

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট হবে : ইসি আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট হবে। আপনি আপনার পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসুন। নিরাপদে কেন্দ্রে আসুন, আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন এবং বাড়িতে গিয়েও আপনি নিরাপদে থাকতে পারবেন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত গাজীপুরের রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যন্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেন, এখানে আমার আসার উদ্দেশে হলো যে, নির্বাচনটা যেন অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হয়। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করে দেয়ার জন্য প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা দায়িত্বে আছেন তারা এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে দিবেন যেন সকল ভোটার উৎসাহ এবং আনন্দের সাথে ভোট দিতে পারে।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গাজীপুরের ক্ষেত্রে শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই আমাদের যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আছে তাদেরকে বলা হয়েছে এবং তারা যথেষ্টভাবে কাজ করছে গোয়েন্দা তৎপরতা আছে। কোথাও কোনো নাশকতা আছে কিনা, তাছাড়া আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে আমরা জানি যে কোথায় কোথায় নাশকতামূলক উদ্যেগ নেয়ার আগেই আমাদেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরে ফেলেছে। তারা ভিজিলেন্স বাড়িয়েছেন এ ধরনের নাশকতা কাজ যদি কেও করার চেষ্টা করে তাহলে ধরা পড়ে যাবে। এখন প্রযুক্তির যুগ, যদি কেউ নাশকত করে মনে করে আমি ধরা পড়ব না, বেঁচে যেতে পারব সেটা কিন্তু সম্ভব না।

তিনি আরো বলেন, গুজবকে ছড়াবেনও না, গুরুত্বও দিবেন না। যদি কিছু থাকে আপনাদের কাছে তাহলে স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন। তারা তাদের (যারা গুজব ছড়াচ্ছে) ব্যবস্থা নিবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব কাজই চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ ছাড়া পৃথিবীতে কোনো কাজ আছে বলে আমি মনে করি না। চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করার জন্য সবসময় ইচ্ছা এবং সামর্থ্য আছে। যেহেতু নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। রাজনৈতিক প্রহসন এইটা নিয়ে কেন জানি ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে।

আমাদের রাজনৈতিক দলকে চিঠি দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, চিঠির উদ্দেশ্যে হলো নির্বাচনী যে আইন আছে আমাদের আরপিও এবং সেখানে বলা আছে নির্বাচনী অপরাধ বলতে একটা কথা আছে। অর্থাৎ, নির্বাচনে কোনো প্রকার হুমকি দেয়া হয়, কোনো প্রার্থীকে, এজেন্টকে, তার সমর্থককে অথবা নির্বাচনী যে ব্যবস্থাপনা কাজে যদি কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করা হয় তাহলে আইন অনুযায়ী অপরাধ। আমরা শুধু বলেছি ১৮ তারিখের পরে যেহেতু প্রতীক দেয়া হবে বা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে সেখানে যেন এই রকম কার্যক্রম না হয়। যেহেতু একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছেন বলে তারা বলেছেন এবং নির্বাচনকে প্রতিহত করবেন বলে বলেছেন আমাদের ক্ষেত্রে হলো আইনের চোখে সেটা বেআইনি। সে বিষয়টাকে যাতে সতর্ক থাকে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সেটা অমরা বলেছি। কিন্তু রাজনৈতিক বা অন্যান্য কর্মসূচির বিষয়ে যেটা গণতান্ত্রিক বা সাংবিধানিক অধিকার সেগুলো দেশের যে প্রচলিত আইন আছে সেটা তারা প্রশাসনের যে অনুমতি নিতে হয় সেখান থেকে নিয়ে তারা তাদের কর্যক্রম করতে পারে। সে বিষয়ে আমাদের কোনো নিষেধ নাই।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) কমিশনার মাহবুব আলম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলম, গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসানসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।