আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা চাইলেন মাহিয়া মাহি

আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা চাইলেন মাহিয়া মাহি

আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা চাইলেন মাহিয়া মাহি

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার নিপা)।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ আইনজীবীকে সাথে নিয়ে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও দায়রা জজ মো: আবু সাইদের আদালতে উপস্থিত হন তিনি। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মাহি। এ সময় তিনি নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু আছে দাবি করে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। মাহি বলেন, প্রথমবারের মতো আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আমার ভুল হয়েছে। আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছি। আদালত আমাকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে, যাতে পরে এমন না হয়। আমি ইনশাআল্লাহ এটা পালন করবো। নেক্সট টাইম যাতে এমন না হয় সে বিষয়ে আমি খেয়াল রাখবো। আদালতকে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে অনুরোধ জানিয়েছি।

মাহি আরো বলেন, উনারা (নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি) আসলে সবার জন্যই সমান। এই আসনের বর্তমান যিনি এমপি, তাকেও শোকজ করা হয়েছিল।

কোন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, পছন্দের প্রতীক এখনই বলতে চাই না। আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দ হবে। তখনই ঠিক হবে আমি কোন প্রতীকটা পাচ্ছি। এর পরেই প্রচারণা। প্রচারণা তো সেই রকমভাবেই করতে হবে। বড় বড় দুটি উপজেলা। মাঠপর্যায়ে আমার অবস্থান খুব ভালো। আপনারা খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

ভোটের মাঠে এসে কোনো বাধা পাওয়া যাচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমাকে কোনো ধরনের হুমকি দেয়া হয়নি। সরে যাওয়ার কথাও বলা হয়নি। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, বিষয়টা আসলে তখন বোঝা যাবে। সরাসরি এখনো কোনো হুমকি আসেনি। প্রচারণার মাঠে গিয়ে আসলে কতটুকু প্রবলেম ফেইস করি সেটা আপনাদের সবাইকে (সাংবাদিকদের) জানাব এবং সহযোগিতা চাইব। যদি দেখি যে আমার কর্মীরা রিস্ক ফিল করছে, তাহলে অবশ্যই আপনারা সাপোর্ট করবেন এবং সেটা দেশবাসীকে জানাবেন।

শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে মাহি বলেন, নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যদি বেঁচে থাকি, শেষ পর্যন্ত লড়ব।

এর আগে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আসনটির নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো: আবু সাঈদ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে প্রচার-প্রচারণা চালালে এর সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হলে তা আমলে নিয়ে মাহিকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।