দাউদ ইব্রাহিমের ‘মৃত্যুর’ খবর নিয়ে হইচই

দাউদ ইব্রাহিমের ‘মৃত্যুর’ খবর নিয়ে হইচই

দাউদ ইব্রাহিম

আন্তর্জাতিক অপরাধী ও ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’ হিসেবে পরিচিত দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবরে ইন্টারনেট দুনিয়ায় এক প্রকার তোলপাড় শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ-সংক্রান্ত খবরের বিভিন্ন লিংকসহ দাবি করা হচ্ছে দাউদ ইব্রাহিমকে বিষপ্রয়োগ করা হলে করাচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আনোয়ারুল হক কাকার দাউদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন, এমন কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গুঞ্জন আরও জোরদার হয়।

তবে তথ্যের সত্যতা যাচাই–বাছাইকারী ওয়েবসাইট ডিএফআরএসি জানিয়েছে, ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটে যে এক্স অ্যাকাউন্টটি দেখা গেছে, তা আনোয়ারুল হক কাকারের নয়। সেটি ভুয়া। কাকারের আসল যে এক্স অ্যাকাউন্ট, তাতেও স্ক্রিনশটের মতো কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি। 

এরআগে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দাউদ ইব্রাহিমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। করাচির হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে দাউদকে। হাসপাতালের যে অংশে তিনি আছেন, সেখানে আর কোনো রোগীকে রাখা হয়নি।

৬৮ বছর বয়সী এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন হঠাৎ কেন অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তার বয়সজনিত শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে কিনা, সামাজিক মাধ্যমে তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, দাউদকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে। সেই কারণেই তিনি গুরুতর অসুস্থ। তবে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি কোনো পক্ষ থেকে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমেও বিষপ্রয়োগের তথ্য নিয়ে জল্পনা রয়েছে। 

১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ে প্রাণঘাতী সিরিজ বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। ওই হামলায় ২৬৭ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর তিনি দুবাই হয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেন। করাচিতে ঘাঁটি তৈরি করেন তিনি। বারবার আইএসআইয়ের সঙ্গে দাউদের যোগ নিয়ে সরব হয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। যদিও পাকিস্তান বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছে।