বেনাপোলে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির সবাই পলাতক

বেনাপোলে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির সবাই পলাতক

ছবিঃ সংগৃহীত।

যশোরের বেনাপোলে ফাতেমা খাতুন (২৭) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য নির্যাতনে তাকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

 

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বেনাপোলের আমড়াখালী কাগমারী গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্ত।

 

নিহত ফাতেমা খাতুন (২২) বেনাপোলের পোড়াবাড়ী নারায়ণপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে এবং আমড়াখালী কাগমারী গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী।

স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি সুমন বলেন, ফাতেমার স্বামী সালাহ উদ্দিন ট্রাক চালক। বিয়ের পর থেকে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবরসহ বাড়ির অন্যরা যৌতুকের জন্য ফাতেমাকে নির্যাতন করছিল।

 

এক পর্যায়ে ফাতেমার অসহায় বাবা নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে সালাহউদ্দিনকে একটি কভার্ডভ্যান কিনে দেন। এতে কিছুদিন ভাল থাকলেও আবারও যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফাতেমাকে মারধর করতে থাকে।

এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সালাহউদ্দিনকে সতর্কও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

 

ফাতেমার স্বজনদের অভিযোগ, সোমবার বিকালে ফাতেমার সঙ্গে সালাহউদ্দিনের বাক-বিতণ্ডা হয়, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের সবাই মিলে তাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে প্রচার করছে।

 

ওসি আরও বলেন, “স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। নাভারণ সার্কেলের এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

“ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।”

 

অভিযুক্তরা সবাই পলাতক; তাদেরকে ধরতে পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।