শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে জাইকার ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণচুক্তি

শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে জাইকার ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণচুক্তি

শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে জাইকার ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণচুক্তি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (তৃতীয় কিস্তি) জন্য ৭৬ হাজার ৬৩৫ মিলিয়ন জাপানি ইয়েনের (প্রায় ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) ঋণচুক্তি করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।রোববার (২৪ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অফিসে এ চুক্তি সই করা হয়।

চুক্তিসই অনুষ্ঠানে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো: শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।এ সময়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করার লক্ষ্যে এই ঋণচুক্তি করা হয়।প্রকল্পের আওতায় নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং (টার্মিনাল ৩), নতুন কার্গো কমপ্লেক্স ও বহুস্তরবিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং নির্মাণ করা হচ্ছে।

এছাড়াও, এই ঋণের অধীনে অন্যান্য ট্রান্সপোর্ট মোডের সাথে যোগাযোগ, পয়োনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার মতো আনুষাঙ্গিক সুবিধাদিতে অর্থায়ন করা হবে।

বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প। এর মধ্য দিয়ে দেশের বিমান ও কার্গো চলাচলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ হবে। এতে করে বিমানবন্দরে প্রবেশ ও যাতায়াতব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ব্যবহার করা আরো বেশি স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হবে এবং বিমানবন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব হবে।

এই ঋণচুক্তিতে সিভিল ওয়ার্কসের জন্য বাৎসরিক ১ দশমিক ৩০ শতাংশ সুদহার ও পরামর্শ সেবার জন্য শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ সুদহারের মতো সহজ শর্ত সংযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই ঋণ পরিশোধের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর এছাড়া, এতে ঋণের গ্রেস পিরিয়ড নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বছর।

চুক্তিসই অনুষ্ঠানে জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা বলেন,‘বাংলাদেশের বিমান খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প। এটি কেবলমাত্র ক্রমবর্ধমান চাহিদাই পূরণ করবে না, বরং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলবে। এই উদ্যোগ আমাদের দুই দেশের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করবে।’

সূত্র : ইউএনবি