পশ্চিমবঙ্গে লাখো কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি পালন

পশ্চিমবঙ্গে লাখো কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি পালন

ছবিঃ সংগৃহীত।

কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে লাখো কন্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি।রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এই গীতা পাঠ কর্মসূচিতে অংশ নেন কয়েক লাখ মানুষ।

 

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দ্বারকার শংকরাচার্য সদানন্দ সরস্বতী মহারাজ, পুরীর দ্বৈপাপতি সেবায়েত ভবানী প্রসাদ দাস মহারাজ। দর্শকাশনে সামনের সারিতে ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দলের সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেত্রী বৈশালী ডালমিয়া, রুদ্রনীল ঘোষ, সাবেক সংসদ সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত।

সকাল ১০টায় শঙ্খ ধ্বনির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘হে পার্থসারথি বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ’, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ধনধান্য ‘পুষ্পভরা’ গানটি গাওয়া হয়।

 

অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও শচমতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই গীতা পাঠে অংশ নেন দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধু, সন্ন্যাসীরা, বিভিন্ন মঠ ও মিশনের আশ্রমিক, স্কুল শিক্ষার্থী, অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের জন্য ব্রিগেডে দুটি মঞ্চ করা হয়। একটি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অতিথি, সাধু, সন্তরা গীতা পাঠ করেন। অন্য একটি মঞ্চ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে লাগানো ছিল বড় বড় জায়ান্ট স্ক্রিন। গীতা পাঠের পর হয় আরতি।

 

এই অনুষ্ঠান থেকে গীতাকে জাতীয় গ্রন্থের মর্যাদা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে।

তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি তার সফর বাতিল করেন। তবে সশরীরে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ বার্তায় এই কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন তিনি।