করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঝিনাইদহ শহর ও কালিগঞ্জের ছয় এলাকা অবরুদ্ধ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঝিনাইদহ শহর ও কালিগঞ্জের ছয় এলাকা অবরুদ্ধ

ছবি : সংবাদাতা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঝিনাইদহ শহরের তিন এলাকা এবং ও কালীগঞ্জ শহরের তিন  এলাকাভিত্তিক লকডাউন(অবরুদ্ধ) শুরু করেছে প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকালে পৌরসভার তিনটি এলাকা লকডাউন করা হয়। এলাকাগুলো হচ্ছে- ২ নং ওয়ার্ড (কলেজপাড়া), ৩ নং ওয়ার্ড (ফয়লা আলু পট্টি) এবং ৫ নং ওয়ার্ড নিশ্চিন্তপুর বনানীপাড়া।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আগামী ৭ দিন প্রাথমিকভাবে ওই সব এলাকা লকডাউন থাকবে। এসময়ে ওই সব এলাকা থেকে কেউ বের হতে বা  ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।

উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে লকডাউন দেয়ার সময়ে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্না রানী সাহা ও কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ। তারা জানান, লকডাউনকৃত এলাকায় জনস্বার্থে পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করবে। এছাড়াও করোনা সংক্রমণ না কমলে শহরের অন্যান্য এলাকাতেও পর্যায়ক্রমে লকডাউন করা হবে।

এর আগে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়ার তিন এলাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাথমিকভাবে আদর্শপাড়ার তিনটি এলাকা সাত দিনের জন্য অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আগামী সাত দিন এই এলাকা থেকে কেও বেরুতে পারবে না এবং এখানে কেও প্রবেশ করতে পারবে না। এই তিন এলাকার মোড়ের রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। অবরুদ্ধ এলাকায় পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করবে।

“আগামীতে শহরের অন্যান্য এলাকাও পর্যায়ক্রমে লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হবে।” এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনাভ্ইারাস বিষয়ক মুখপাত্র ডা. প্রশেনজিৎ বিশ্বাস জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, “মানুষ কিছু পরোয়া করছে না। হাট বাজারে ভীড় করছে। মাস্ক ব্যবহার করছে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না।” এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা শিরীন, পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ  আল-মাসুম, পৌর কাউন্সিলর , পুলিশ কর্মকর্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীবৃন্দ।

ঝিনাইদহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আজ পর্যন্ত জেলায় মোট ৪৮৯ জনের দেহে মরণঘাতী করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সাংবাদিক, ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ বিভিন্ন সেক্টরের লোক রয়েছেন। আর করোনায় মারা গেছেন আট জন।