অস্ট্রেলিয়ায় ঝড়ের আঘাতে ৮ জনের মৃত্যু

অস্ট্রেলিয়ায় ঝড়ের আঘাতে ৮ জনের মৃত্যু

সংগৃহীত

বড়দিনের ছুটির মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রবল ঝড় আঘাত হেনেছে। ঝড়ের আঘাতে ৮ জন নিহত হয়েছে এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা এবং বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়েছে এবং কয়েক হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। খবর আল জাজিরার।

ভিক্টোরিয়া এবং কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দলগুলো আটজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ঝড়ের কারণে বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনের উপকণ্ঠে ৮ বছর বয়সী একটি শিশু পানির স্রোতে ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ব্রিসবেন থেকে ১৮০ কিলোমিটার (১১১ মাইল) উত্তরের গিমপি শহরে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কুইন্সল্যান্ড ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেসের ডেপুটি কমিশনার কেভিন ওয়ালশ জানিয়েছেন, বুধবারও উদ্ধারকারী দলগুলো ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে যাবে।

গিমপির মেয়র গ্লেন হার্টউইগ এবিসি নিউজকে বলেন, ক্রিসমাসের সময় এ ধরনের পরিস্থিতি পরিবারগুলোর জন্য সত্যিই দুঃখজনক। দেশটির পূর্ব উপকূলে গত ২৫ এবং ২৬ ডিসেম্বর কয়েক দফা বজ্রপাত আঘাত হেনেছে। আকস্মিক ঝড় ও বন্যায় বেশ কিছু নদী প্লাবিত হয়েছে এবং প্রবল বাতাসে বাড়ি-ঘরের ছাদ উড়ে গেছে। বেশ কিছু এলাকায় গাছ উপড়ে গেছে।

ব্রিসবেনে ঝড়ের সময় সাগরে একটি নৌকা উল্টে যায়। নৌকাটিতে ১১ জন আরোহী ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবারের ওই ঘটনায় তিনজন ডুবে গেছে। এছাড়া আটজনকে পানি থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারোল বলেন, আবহাওয়ার কারণে গত ২৪ ঘণ্টা ছিল খুবই খারাপ সময়। আবহাওয়া ব্যুরো সতর্ক করেছে যে, কুইন্সল্যান্ডের উপকূলীয় অঞ্চলে এখনও ঝড় বিপজ্জনক অবস্থায় আছে এবং এই পরিস্থিতি জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। সেখানে বন্যা, শিলাবৃষ্টি এবং তীব্র বাতাসের আশঙ্কা রয়েছে।

কুইন্সল্যান্ডের বিদ্যুৎ কোম্পানি এনারজেক্স জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে এক হাজারের বেশি বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে গেছে এবং প্রায় ৮৬ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।