আদাবর থানা হাজত থেকে পালানো সেই নারী আসামি গ্রেপ্তার

আদাবর থানা হাজত থেকে পালানো সেই নারী আসামি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর আদাবর থানার হাজত থেকে পালানো মাদক মামলার নারী আসামি লাবনী আক্তারকে (২০) কেরানীগঞ্জের মধু সিটি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা ঢাকা ও আশপাশের থানায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অসতর্কতায় থানা হেফাজতে থাকা মাদক মামলার নারী আসামি লাবনী আক্তার পালিয়ে যায়। ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে সে কৌশলে থানা থেকে চলে যায়। পরে ভোর ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও পরিদর্শক (অপারেশনের) নেতৃত্বে ঢাকার মোহাম্মদপুর, আদাবরসহ আশপাশের এলাকা এবং সাভার, হেমায়েতপুর, বসিলার মধুসিটিসহ বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালানো হয়। অবশেষে ১৭ ঘণ্টা পরে আমরা আসামিকে ফের গ্রেপ্তার করেছি।

আদাবর থানার ওসি মাহবুব বলেন, অত্যন্ত কৌশলে নারী ও শিশু ডেস্ক থেকে মাদক মামলার আসামি লাবনী পালিয়ে যায়। এরপরে তাকে খুঁজতে মাঠে নামি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজি। কিন্তু কোথাও পাইনি। পরে তার স্বামীকে আটক করার পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার মধু সিটি হাউজিং থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাকে আদালত হাজির করা হবে।

আসামি পালানো ও দায়িত্ব অবহেলা তদন্তে কোনো কমিটি ঘটন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি বলতে পারছি না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। তবে দায়িত্বরতদের কিছুটা অসতর্কতা তো ছিল। তবে আমি কাউকে শাস্তি বা বরখাস্ত করতে পারি না। এটা ‍ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে গত শুক্রবার আদাবর থানার শেখেরটেক ১২ নম্বর রোড থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ লাবনী আক্তারকে গ্রেপ্তার করেন আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম। পরবর্তীতে গত ২৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ইব্রাহিম। মামলা শেষে থানায় ছিলেন লাবনী। পরবর্তীতে শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে থানা থেকে পালিয়ে যায়। এই সময়ে ডিউটি অফিসর হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন।