মনপুরায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ২ আসামি কারাগারে

মনপুরায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ২ আসামি কারাগারে

ফাইল ছবি

ভোলার মনপুরায় এক ধান মাড়াই কলের ড্রাইভারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মনপুরা থানা পুলিশ।

ধান মাড়াইকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় মাড়াই মেশিনের ড্রাইভার মো. শামীমকে (২৬) হত্যার উদ্দেশ্যে মেশিনে হাত ঢুকিয়ে হাত কেটে ফেলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার কাজীরচর এলাকার ২নং ওয়ার্ড থেকে মামলার আসামি কামাল (৫০) ও হাসানকে (২৮) গ্রেপ্তার করে ভোলা জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে মনপুরা থানা পুলিশ।

সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের কাজীরচর গ্রাম থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের কাজীরচর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের আদর্শ কলোনি-সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা কৃষক মো. মোখলেছুর রহমান হেজুর বাড়িতে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) মাড়াই মেশিনে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিল ভুক্তভোগী ড্রাইভার মো. শামীম (২৬)। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির কামাল, নুরুদ্দিন ফরাজী, হাসান, আবদুল্লাহ তাদের অপর একটি ধান মাড়াই মেশিন নিয়ে কৃষক মোখলেছুর রহমান হেজুর বাড়িতে উপস্থিত হয়। এই ধান তারা মাড়াই করবে বলে দাবি করেন। এ সময় ভুক্তভোগী ড্রাইভার শামীমকে ধান মাড়াই করতে দেখে তারা বাধা দেয়। এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাদের মেশিন দিয়ে ধান মাড়াই না করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে মারধর শুরু করে। এ সময় তারা শামীমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধান মাড়াই মেশিনের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ড্রাইভার শামীমের বাম হাত মেশিনের মধ্যে ঢুকে হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত শামীমের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে।

এ সময় অভিযুক্তরা স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। শামীমকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় আহতের বাবা মো. ইলিয়াছ বাদী হয়ে মনপুরায় থানা মামলা করেন। মামলায় কৃষক মো. মোখলেছুর রহমান হেজুসহ অভিযুক্ত পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কাজীরচরে অভিযান চালিয়ে মামলারে ২ আসামি কামাল (৫০) ও হাসানকে (২৮) গ্রেপ্তার করে ভোলা জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে মনপুরা থানা পুলিশ। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।

মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।