হাবিপ্রবিতে পোলট্রি ফার্মিং প্রজেক্টের সাফল্য

হাবিপ্রবিতে পোলট্রি ফার্মিং প্রজেক্টের সাফল্য

সংগৃহীত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা পোলট্রি ফার্মিং প্রজেক্ট নজড়কাড়া সাফল্যের দেখা পেয়েছে। সম্প্রতি প্রজেক্টটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২৩-এর জন্য গেজেটভুক্ত করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের অধ্যাপক ও ছাত্র পরামর্শ এবং নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুর হোসেনের তত্ত্বাবধানে প্রজেক্টটি পরিচালিত হয়। এতে আরও যুক্ত ছিলেন ইসিই বিভাগের প্রভাষক মো. সেলিম হোসেন, ইসিই ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন এবং আজিজুল হাকিম বাপ্পি এবং ইসিই ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুজতুবা রাফিদ। এটি জেলা পর্যায়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০২৩’-এর ‘স্মার্ট কারিগরি-সরকারি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছিল।

প্রজেক্টের নাম হলো ‘পোলট্রি ফার্মিং শেডে অ্যাপ্লিকেশনের জন্য একাধিক সেন্সর নেটওয়ার্কসহ স্মার্ট অ্যানোমিয়া-দূষণ-হ্রাসকরণ সিস্টেম ডিজাইনকরণ এবং উন্নততর করে তৈরিকরণ।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘আমাদের টিম একটি পোলট্রি রোবট আবিষ্কার করেছে, যা পোলট্রি খাতের অপারেটরদের কাজগুলো নিখুঁতভাবে একাই করতে সক্ষম। যেমন- তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, বিষাক্ত গ্যাস কন্ডিশন নিয়ন্ত্রণ, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা ইত্যাদি। এ ছাড়াও পর্যবেক্ষণকৃত এলাকায় কোনো মুরগি মারা গেলে বা দুর্গন্ধ ছড়ালে সেগুলোও মনিটরিং করবে। তবে এই প্রোজেক্টটির সবথেকে বড় সাফল্য হচ্ছে এই পোলট্রি রোবট শুধু মনিটরিং করবে না, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে। যেকোনো সুইচ অন-অফ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রোবটটি তার মালিকের কাছে মেসেজিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির বার্তা পাঠাবে।’

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার অটোমেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই অংশ এই প্রোজেক্ট। অটোমেশন পদ্ধতি শুধু শহরকেন্দ্রিক হলেই হবে না, এটিকে তৃণমূল পর্যায়েও নিশ্চিত করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ের উদ্ভাবনগুলোকে মূল্যায়নের লক্ষ্যে সরকারের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই।’

অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন আরও বলেন, ‘প্রজেক্টটি মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক রাষ্ট্রের স্থায়ী স্বীকৃতি অর্জন করায় আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার প্রাপ্তির আনন্দ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রের এই স্থায়ী স্বীকৃতি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আগামী দিনে স্মার্ট সিস্টেমের ওপর গবেষণা তৈরিতে আমাদেরকে উৎসাহিত করবে। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও অনুপ্রাণিত হবে।’