পাবনায় নিখোঁজের পাঁচদিন পর নদীতে মিলল কৃষক খালেকের মৃতদেহ

পাবনায় নিখোঁজের পাঁচদিন পর নদীতে মিলল কৃষক খালেকের মৃতদেহ

নিহত খালেক খান

নিখোঁজের পাঁচদিন পর কৃষক খালেক খানের মৃতদেহ পাওয়া গেল পাবনার নদীতে।  মঙ্গলবার (২১ জুলাই ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলার ইছামতি নদীর চৌকিবাড়ি এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত ব্যক্তি হলেন পাবনা সদর  উপজেলার বলরামপুর হাজিরহাট এলাকার শামসুদ্দিন খাঁনের মেঝো ছেলে খালেক খাঁন (৪৮)।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুল ইসলাম ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “উদ্ধারকৃত মৃতদেহটি পঁচন ধরায় এবং ফুঁলে ফাঁপে যাওয়ায় তিনি কিভাবে মারা গেছেন বা হত্যা করা হয়েছে তা বোঝার উপায় নেই। তবে শ্বাষরোধ করে হত্যা করা হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।” ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি জানান, খালেক খান দীর্ঘ দিন কুয়েত প্রবাসী ছিলেন। দেশে এসে কৃষি কাজ করছিলেন।

এদিকে  তার নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনের জন্য মঙ্গলবার (২১ জুলাই ) পাবনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বজনরা। এর আগে খালেক নিখোঁজের বিষয়ে ১৮ জুলাই পাবনা সদর থানায় একটি জিডি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই বিকেলে খালেকের সাবেক স্ত্রী উম্মে কুলসুম বীনার মোবাইল ফোন পেয়ে খালেক বাড়ি থেকে বের হন তার সাবেক স্ত্রীর কাছ থেকে তার ছোট সন্তানকে আনতে। কিšতু দীর্ঘ ৫দিন অতিবাহিত হলেও খালেক বাড়িতে ফিরে আসেননি। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া না গেলে এব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিšতু পুলিশের নিকট থেকে সন্তোষজনক কোন সহযোগিতাও স্বজনরা পাননি বলে অভিযোগ করা হয়। পরিবারের অভিযোগ নিখোঁজ খালেকের প্রথম তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী উম্মে কুলসুম বীনা ও তার বর্তমান স্বামী মোঃ শাহিদুল ইসলাম আসিফ পরিকল্পিতভাবে খালেককে ডেকে নিয়ে হত্যা বা গুম করেছে।

তবে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ নিখোঁজ খালেককে উদ্ধারের জন্য তৎপর থাকে।

অবশেষে নিখোঁজ খালেককে তাকে পাওয়া গেল ঠিকই। কিšতু জীবিত নয়; মৃত অবস্থায়।