৫০ বছর পর যে আসনে প্রথমবার জয় পেল নৌকা

৫০ বছর পর যে আসনে প্রথমবার জয় পেল নৌকা

ফাইল ছবি

স্বাধীনতার পর ফেনী-১ সংসদীয় আসনে প্রথমবার নৌকার প্রাথী হিসেবে জয় পেয়েছিল ১৯৭৩ সালে। আর দীর্ঘ ৫০ বছর পর ওই আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে চমক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। তিনি প্রায়  ১ লাখ ৭৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে এই আসনটিতে বিজয়ী হলেন | 

সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

১৯৯১ সাল থেকে এই আসনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফেনী-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রথিতযশা সাংবাদিক এবিএম মূসা। এরপর এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ আর কখনও জয়ী হতে পারেনি। 

বিজয়ী ঘোষণার পর আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে নৌকা তুলে দিয়েছেন। আপনারা আমাকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে সেই উপহার তুলে দিয়েছেন । এখানে ভোটের উৎসব তৈরি করেছেন। ভোটের দিন সবাইকে নিয়ে ভোট উৎসব করেছেন। আমি দলীয় নির্বাচনি ইশতেহারের পাশাপাশি নিজ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নকাজ করবো ইনশাল্লাহ। 

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় সূত্র জানায়, ফেনী-১ আসনে ভোটগ্রহণের হার ৫৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩১৫ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ঘোষিত ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার ইকবাল লাঙ্গল প্রতীকে ৪ হাজার ১৯৫ ভোট পেয়েছেন। 

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বিসিএস প্রশাসন সার্ভিসে ১৯৮৬ সালে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার এপিএস হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। এই দায়িত্বে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তার সাহসী ভূমিকা ছিল প্রশংসিত। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার শক্ত ও সাহসী অবস্থান তখন প্রশংসিত ছিল নেতাকর্মীদের কাছে। ২০০৯ সালে উপসচিব হিসেবে তিনি প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদত্যাগ করে অবসরে যান