গাজায় নিহত ২৩ হাজার ২১০, জাতিসংঘের উদ্বেগ

গাজায় নিহত ২৩ হাজার ২১০, জাতিসংঘের উদ্বেগ

সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হাজার ২১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি উপত্যকায় নিহত হয়েছেন শতাধিক সাংবাদিক। এ বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর।

মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ছিটমহলজুড়ে ফিলিস্তিনি পরিবারের বিরুদ্ধে ১২টি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে ১২৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৪১ জন আহত হয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে যে, ইসরায়েলের নিরলস বিমান ও স্থল হামলার কারণে অ্যাম্বুলেন্সগুলো তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় অনেক ভুক্তভোগী রয়েছেন।

গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে বহু সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন ( ইউএনএইচসিআর)। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েল অভিযান শুরু করার পর এখনো পর্যন্ত বহু সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রতিটি মৃত্যুর স্বাধীন তদন্ত হওয়া উচিত।

সম্প্রতি আল জাজিরার দুই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। তারপর সাংবাদিক-মৃত্যু নিয়ে সোচ্চার হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। শুধু তদন্তই নয়, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে জাতিসংঘের ওই বিবৃতিতে।

এদিকে সাউথ ক্যারোলিনায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের সামনে তার বক্তৃতা ব্যাহত হয়। গাজায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। বাইডেন তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, প্রতিবাদ সংগত।

গাজায় যাতে বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। পাশাপাশি ইসরায়েলের সেনা এবার ধীরে ধীরে যাতে গাজা ছেড়ে বার হতে শুরু করে, তার প্রস্তাবও তিনি দিয়েছেন। রোববার কাতারে গিয়ে মার্কিন মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, গাজার বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে ইসরায়েলের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন। এরপর সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও ইসরায়েলে সফর করেছেন তিনি।