কনকনে ঠান্ডা, হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে ঠাকুরগাঁওবাসী

কনকনে ঠান্ডা, হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে ঠাকুরগাঁওবাসী

সংগৃহীত

গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা পাচ্ছে না ঠাকুরগাঁওবাসীর। চলছে শৈতপ্রবাহ। হিমালয়ের পাদদেশ হওয়ায় প্রতিবছর এ জেলায় শীতের প্রকোপ অন্য জেলার চেয়ে বেশী। এর সাথে শুরু হয়েছে পৌষের হিমেল বাতাস, কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত। চরমে উঠেছে জনদুর্ভোগ। প্রতি বছরের মত এবারও শিরশিরে ঠান্ডায় নাকাল প্রাণীকুল। 

খেটেখাওয়া মানুষের দূর্ভোগ যেন চরমে। শীত জনিত রোগে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর সংখ্যা । সরকারি সহায়তা কামনা করছে এলাকাবাসী।

এ বছর গত সাতদিন ধরে হিমেল হাওয়ার শৈত্য প্রবাহ চলছে এ অঞ্চলে। দূর্ভোগে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র শীতের কারণে কাজের পরিমান অনেক কমে গেছে। সরকারের সহায়তা কামনা করছে তারা। আবার কেউ কেউ শীত উপেক্ষা করে কাজে গেছেন পেটের দায়ে। ঠান্ডা জনিত কারণে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বাড়ছে নিমুনিয়া,ডাইরিয়াসহ শর্দী-কাশি রোগির সংখ্যা। শীতের তীব্রতায় মানুষে সাথে নাকাল গোবাদি পশুও। তাদের শীত নিবারনে যেন ব্যাস্ত হয়ে পরেছে চাষীরা। খরকুটো জ্বালীয়ে শীত নিবারন করছে অনেকে। 

যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে রাস্তায়। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন বলে জানিয়েছেন । 

ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। তাসত্বেও আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দেয়ার। লোকবল পেলে আরো সেবা দিতে পারতাম।  

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, গড় তাপমাত্রা গত বছরের তুলনায় বেশী হলেও এখন এখানে গত এক সপ্তাহ ধরে শৈত্য প্রবাহ চলছে। শীতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কষ্ট মোকাবেলায় আমরা তাদের পাশে আছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ চলছে এবং তা অব্যাহত আছে।

দেশে হিমালয়ের পাদদেশের এই জেলাটিতে দুস্থ ও মেহনতি মানুষের সেবায় আরো বেশী সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসবে সরকার এই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।