ইবিতে ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার : সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণে তিন সদস্যের কমিটি

ইবিতে ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার : সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণে তিন সদস্যের কমিটি

ইবিতে ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার : সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণে তিন সদস্যের কমিটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণের জন্য প্রক্টর অফিস থেকে তিন সদস্যদের একটি কমিটি করা হয়েছে। শনিবার প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়া এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও সাধারণ ডায়েরি করতে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছে।

ফুটেজ পর্যবেক্ষণ কমিটি সদস্যরা হলেন, সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েল, কাজী মওদুদ আহমেদ ও মিঠুন বৈরাগী। এছাড়া আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান শরিফুল ইসলামকে সহযোগিতার জন্য রাখা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। দুইটি হলের ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এখনো সবগুলো যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। অতিদ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করবো।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া আবাসিক হল ও আইসিটি সেলকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। সময় স্বল্পতার জন্য আজ সবগুলো ফুটেজ দেখা সম্ভব হয়নি। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ক্যামেরার সেন্ট্রাল সার্ভার পর্যবেক্ষণ করা হবে। 

এদিকে ঘটনার দ্বিতীয় দিনেও উদ্ধারকৃত বস্তুগুলো ককটেল কি না তা জানা যায়নি। ইবি থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা বস্তুগুলো বিশেষ বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া সেটি সম্ভব না বলে জানান ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান।  

এ ছাড়া এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শনিবার অফিস সময়ের পর বিকেল পাঁচটায় ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করার জন্য একটি আবেদন পত্র পাঠানো হয়। তবে পূর্বেই একটি সাধারণ ডায়েরি হওয়ায় সেই আবেদন জমা রাখা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। 

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমান বলেন, এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ থেকেও সাধারণ ডায়েরি করার জন্য আবেদন করা হয়। তবে, একটি ঘটনায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি করা যায় না৷ এজন্য ওই আবেদনটা অফিসে জমা রাখা হয়েছে।এদিকে উদ্ধারকৃত বস্তুগুলো সনাক্ত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া এটি করা সম্ভব হয় না৷ আদালতের অনুমতির পরে বিশেষ বাহিনীর কাছে এগুলো হস্তান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে জরুরি সভা করে ক্যাম্পাসে তল্লাশি চালানো হয়।