বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী

বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুনের প্রধান আসামী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে তৎপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানা গেছে, দ্রুত এই অপরাধীকে ঢাকায় পাঠানো হবে। বাংলাদেশ সরকার তার চরম শাস্তি দিতে প্রস্তুত।১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট ঢাকায় নিজ বাসভবন ৩২. নম্বর ধানমন্ডিতে সেনা বাহিনির বিদ্রোহী অফিসারদের নির্দেশে হামলা হয়েছিল। সেইদিনই সপরিবারে খুন করা হয় বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে। ঘটনার সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানি তে থাকায় বেঁচে পান।

বঙ্গবন্ধু খুনের ঘটনায় তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে। চার দশক পেরিয়েও এই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এখনও প্রবল আলোচিত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বারবার আত্মগোপনকারী খুনিদের ধরে দেশে এনে বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন।

তবে বঙ্গবন্ধু খুনে জড়িত তৎকালীন বাংলাদেশ সেনার আরও এক কর্তা মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করেছে সরকার।

এর পরেই এলো সেই আলোড়িত হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী সেনা কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি। ১৫ বছর আগে তার রাজনৈতিক আশ্রয়দান মঞ্জুর করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেই ফাইল পুনরায় তলব করে খতিয়ে দেখবে আদালত।

রাশেদ চৌধুরী কে আর মার্কিন সরকার আশ্রয় দিতে নারাজ। বাংলাদেশ সরকার মনে করছে অবিলন্বে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ঢাকায় এনে ফাঁসি দেওয়া সম্ভব হতে চলেছে। মার্কিন পত্রিকা পলিটিকো জানিয়েছে, রাশেদকে রাজনৈতিক আশ্রয় দানের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির আইন বিভাগ। এই প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক আশ্রয় হারাতে পারে বঙ্গবন্ধুর এই খুনি।

রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানী সেক্রামেন্টো থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরের শহর কনকর্ডের হ্যাকলবেরি ড্রাইভে বসবাস করে। বারবার স্থান বদল করে। ক্যালিফোর্নিয়ায় দুটি বাড়ির মালিক রাশেদ চৌধুরী। একটি কনকর্ডে এবং অন্যটি সেক্রামেন্টোতে।