চট্টগ্রামে নকল আকিজ বিড়িসহ বেঙ্গল গ্রুপের এসআর আটক

চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার কাজিরহাট ও মির্জারহাট বাজারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়িসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তির নাম মো. ইলিয়াছ চৌধুরী। সে বেঙ্গল গ্রুপের পণ্য বিক্রিকারী এসআর হিসেবে নিয়োজিত। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মির্জারহাট বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল বিড়ি উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে আসছে। এই চক্রটি কুষ্টিয়া, পাবনা, রংপুর জেলায় নকল আকিজ বিড়ি তৈরি করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কাজিরহাট ও মির্জারহাট বাজারের হোলসেলস দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বাজারের এক ব্যবসায়ীকে নকল বিড়ি সরবরাহ করার সময় মো. ইলিয়াছ চৌধুরী নামের একজনকে নকল আকিজ বিড়িসহ আটক করা হয়। সে বেঙ্গল কোম্পানির পণ্য বিক্রিকারী এসআর। এসময় তার নিকট থেকে পাঁচ হাজার (৫,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি উদ্ধার করা হয়। 

ভবিষ্যেতে আর কখনো নকল বিড়ি বিক্রি ও মজুদ করবে না এই শর্তে লিখিত অঙ্গিকারনামা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এই রকম কার্যক্রম পরিচালনা করলে মামলার হুশিয়ার দেওয়া হয়।

লিখিত অঙ্গিকারনামায় উল্লেখ করা হয়, আমি মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, এই মর্মে আমি অঙ্গীকার করছি যে, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ লোভে পড়ে কাজীরহাট, মির্জাহাট সহ বিভিন্ন বাজারে নকল আকিজ বিড়ি গোপনে বিক্রয় বারে আসতেছি। বুধবার মির্জারহাট দক্ষিনে নকল আকিজ বিড়ি বিক্রয় করার সময় স্থানীয় আকিজ বিড়ির কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজন আমাকে হাতেনাতে ৫০০০ শলাকা নকল আকিজ বিড়িসহ আটক করে।

আমি এ ধরনের নকল আকিজ বিড়ি ভবিষতে বিক্রয় ও বাজারজাত হতে বিরত থাকব, যদি আমি পরবর্তী সময়ে এ ধরনের অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকি তাহলে কোম্পানির পক্ষ হতে আমার বিরুদ্ধে যে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে এবং তা আমি স্বজ্ঞানে মাথা পেতে নিব।

অভিযান শেষে জব্দকৃত নকল আকিজ বিড়ি বাজার কমিটির উপস্থিতিতে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরী লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবস্থাপক (ইনচার্জ) মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরী লিমিটেডের সুনাম নষ্ট করতে কিছু অসাধু চক্র নকল আকিজ বিড়ি তৈরি করছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তারা বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে কম দামে বিড়ি বিক্রি করছে। এতে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব হারাচ্ছে। নকল বিড়ি বন্ধ করতে পুলিশ, র‌্যাব, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহযোগীতা কামনা করছি।