নব্বই হাজার সেনার বিশাল মহড়া ন্যাটোর

নব্বই হাজার সেনার বিশাল মহড়া ন্যাটোর

ফাইল ছবি

স্নায়ুযুদ্ধের পর মাসব্যাপি ৯০ হাজার সেনাসদস্য নিয়ে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ন্যাটোর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল ক্রিস ক্যাভোলি বলেন, আঞ্চলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই মহড়া পরিচালনা করা হবে। মূলত এটি সামরিক পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে যে কোনো হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নেয়া হবে।

ন্যাটো জানায়, ডেস্ট্রেয়ার মহড়ায় অংশ নেবে ৫০ টির বেশি বিমানবাহী রণতরী থেকে। অংশ নেবে ৮০ টির বেশি জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ও অন্তত ১১০০ যুদ্ধযান। যার মধ্যে থাকবে ১৩৩টি ট্যাংক। পাশাপাশি পদাতিক বাহিনীর লড়াইয়ের ৫৩৩টি যুদ্ধযান থাকছে এই মহড়ায়। এছাড়া এবারের মহড়ায় নেটো সদস্যদেশগুলোর সেনাদের পাশাপাশি সুইডেন থেকেও সেনারা অংশ নেবে। খুব শিগগিরই নেটো জোটে যোগ দিচ্ছে সুইডেন।

ন্যাটো তাদের ঘোষণায় সরাসরি রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেনি। তবে তাদের নথিতে মস্কোকে সরাসরি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কমান্ডার ক্যাভোলি আরও বলেন, নেটোর আঞ্চলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মহড়া চলবে। রাশিয়ার হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে নেটো কয়েকদশক ধরে যে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা তৈরি করেছে তারই মহড়া এটি।

নেটো বলেছে, ‘স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪’ ইউরোপের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে উত্তর আমেরিকা এবং জোটের অন্যান্য অংশ থেকে দ্রুত সেনাবাহিনী মোতায়েনে নেটোর সক্ষমতা প্রদর্শনেরই মহড়া।

নেটোর হিসাবমতে, একই ধরনের মহড়া ‘রিফরজার’ সর্বশেষ চালানো হয়েছিল ১৯৮৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময়। তাতে অংশ নিয়েছিল ১,২৫,০০০ সেনা এবং ২০১৮ সালে ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ৫০ হাজার সেনা।

উল্লেখ্য, ন্যাটো পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর দ্বারা গঠিত একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। এর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য-দেশের সংখ্যা ৩১। এদের মধ্যে ২৯ টি দেশ ইউরোপের, আর বাকি ২ টি দেশ উত্তর আমেরিকার৷ ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল আলবেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া ন্যাটোতে যোগ দেয়। উত্তর মেসিডোনিয়া ২৭ মার্চ ২০২০ তারিখে যোগ দেয়। সর্বশেষ ফিনল্যান্ড ৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ন্যাটোতে যোগ দেয়। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় ৭০ ভাগ।