কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা

ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামে গত দুদিন ধরে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়লেও প্রচন্ড শীতে ঠান্ডার প্রকোপ কমেনি। হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল জেলাবাসী।শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যা গত দুই দিনের চেয়ে আরও ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।

তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বাড়লেও শীতের ঠান্ডার তীব্রতা কমেনি। এরপর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালেও প্রচন্ড কুয়াশায় ছেয়ে গেছে গোটা জনপদ। এ অবস্থায় মাঘের শুরুতে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জেলার মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গত এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ তেমন না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি মেলেনি।

তাপমাত্রা মৃদু শৈত্য প্রবাহে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ তাপমাত্রা এভাবে বাড়তে থাকলে রোববার আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ।

এদিকে, ঠান্ডার প্রভাব না কমায় শ্রমজীবি নিম্ন আয়ের খেটেখাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই পেটের দায়ে শীতকে উপেক্ষা করে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

শহরের গোড়স্থানপাড়ায় অপেক্ষারত শ্রমিক নবিদুল মিয়া ও জলিল মিয়া জানান, এত ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে পারছি না। হাত পা টাটায় আর সর্দি কাশিতো লাগি আছে। তাও পেট চালাইতে হামারগুলাক কাজে যাওয়া নাগে।

এছাড়াও কেউ কেউ বাড়ির পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতের ঠান্ডা নিবারণে চেষ্টা করছে। আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনা ঘটলেও শীতের ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে এ চেষ্টা।

অন্যদিকে, গবাদি পশুগুলোর ঠান্ডায় মারাত্মক কষ্টে পড়তে হয়েছে। জেলার রাস্তার পাশে ফুটপাতে শীতের কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে সাধারণ নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্তের। হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমাসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।