বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ ডাচ এনজিওগুলোর

বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ ডাচ এনজিওগুলোর

বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ ডাচ এনজিওগুলোর

বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করতে ডাচ এনজিওগুলো তাদের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে। নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিতেএক সম্মেলনে দেশটির এনজিওর প্রতিনিধিরা এ আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করে। 

সম্মেলনে ৪০টিরও বেশি ডাচ এনজিও থেকে ৬০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। তারা বাংলাদেশে নারী ও শিশু, জলবায়ু অভিযোজন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, কৃষি, মানসিক স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছেন।নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঞ্চালনায় সম্মেলনে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সহযোগিতা), রাষ্ট্রদূত প্যাসকেল খ্রোটেনহাউস ও রাষ্ট্রদূত (এশিয়া ও ওশেনিয়া) ওয়াউটার ইয়োর্খেন বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ বিশদভাবে তুলে ধরেন কীভাবে দুটি ব-দ্বীপের মানুষ সক্ষমতা ও জ্ঞানের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও উদ্ভাবন, সহনশীলতা ও উন্নয়ন উদ্যোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়।

ডাচ এনজিওগুলোকে ‘বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু’ আখ্যায়িত করে তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ডাচ এনজিওগুলো কীভাবে বাংলাদেশে আরও নিয়োজিত হতে পারে, তার ক্ষেত্র ও ধারণাগুলো তুলে ধরেন।রাষ্ট্রদূত প্যাসকেল তার মূল বক্তব্যে কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার সুরক্ষা ও জীবিকা অর্জনের জন্য একটি সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে তার ভাবনা উপস্থাপন করেন।

প্যানেল আলোচনায়, অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু মোকাবিলা ও জীবিকা  বিষয়ে ডাচ সরকারি সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও এনজিও থেকে প্রায় ১০ জন বিশেষজ্ঞ আলোচনা করেন। এ ছাড়া  উন্নয়ন কর্মী, তৃণমূল, নারী ও শিশু, যুবকদের প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলোর উপর আলোচনা করা হয়েছে।  বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি রূপান্তরকারী সম্ভাবনা পরীক্ষণের সুযোগ ও সম্ভাব্য সমাধান আলোচনা  এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার জন্য জীবিকার বিকল্প তৈরি করতে প্রযুক্তিচালিত সমাধান প্রবর্তন তাদের আলোচনায় প্রাধাণ্য পায়।

নেদারল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন কালেকশন (এনআইসিসি) বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ডাচ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সম্পৃক্ততার একটি সময়রেখা তুলে ধরে।বাংলাদেশের ‘উন্মুক্ত ও উদার নৈতিক মূল্যবোধ’ও টেকসই সমাধান, সামাজিক সংহতি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিতকরণে একটি ‘জীবন্ত গবেষণাগার’ হিসেবে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ডাচ এনজিও ও অন্যরা।

সূত্র  :  ইউএনবি