১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়

১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়

ছবি : সংগৃহীত

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে কনকনে শীতে তাপমাত্রা ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাস। এ সময় কনকনে শীত অনুভূত হয়। এ মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে। 

এদিকে, হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে স্থবিরতা দেখা দেয় জনজীবনে।এ কারণে সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন পাথর, চা, রিকশা ভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশাভ্যানে উঠতে চায় না। এতে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের। সকাল বেলা ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঘনকুয়ায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।  

অন্যদিকে, হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস ও শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।  

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ ঢাকা মেইলকে বলেন, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে শনিবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।