নওগাঁয় মজুদ বিরোধী অভিযানে ১৩টি রাইসমিলকে প্রায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা

নওগাঁয় মজুদ বিরোধী অভিযানে ১৩টি রাইসমিলকে প্রায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা

ফাইল ছবি

নওগাঁয় মজুদ বিরোধী অভিযানে শনিবার বিকালে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার ১৩টি রাইসমিলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৩টি গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) গোলাম মওলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নওগাঁ সদর উপজেলার আনন্দনগরে মেসার্স আরএম রাইস মিলের মালিক ও জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে অবৈভভাবে ধান চাল মজুদ রাখার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে ৩টি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।

মেসার্স তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলে অবৈধভাবে চাল মজুদের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেসার্স এমএম অটোরাইস মিলকে ৩১০০ মেট্রিক টন ধান মজুদের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শহরের হাজি মফিজ উদ্দিন অটোরাইস মিলে অনুমোদনবিহীন চাল মজুদের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেসার্স জায়েদা ট্রেডার্সকে অনুমোদনবিহীন চাল মজুদের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেসার্স সুফিয়া অটোমেটিক রাইস মিলকে অনুমোদনবিহীন ধান ও চাল মজুদের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলার মান্দা উপজেলার সাবাইহাটে অবৈধ ধান মজুতের দায়ে এবং লাইসেন্স না থাকার জন্য ফয়জুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা এবং সুমন কুমার নামে আরও এক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মহাদেবপুর উপজেলার নাহার আরমান অটোমেটিক রাইস মিলে ধান ১ মাসের বেশি সংরক্ষণের দায়ে ৩০ হাজার টাকা, শাপলা অটোমেটিক রাইস মিলে চাল ১৫ দিনের বেশি সংরক্ষণের দায়ে ২০ হাজার টাকা, দাদা অটোমেটিক রাইস মিলে চাল ১৫ দিনের বেশি চাল সংরক্ষণের দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া পত্নীতলা উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুদের দায়ে তিনজন ধান ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা করেছেন নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম রবিন শিষ, মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আরজুমান্দ এবং এনডিসি ইফতেখার শামীম, মহাদেবপুর ও পত্মীতলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

ডিসি আরও জানান, অবৈধভাবে মজুতকৃত এসব ধান ও চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন উপ পরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবেন। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুত বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।