মেসি ও ডি মারিয়া প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে চান

মেসি ও ডি মারিয়া প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে চান

মেসি ও ডি মারিয়া প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে চান

আর্জেন্টাইন জাতীয় দলের এই মুহূর্তের অন্যতম দুই অভিজ্ঞ তারকা লিওনেল মেসি ও এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে খেলার ইচ্ছা পোষন করেছেন। আর্জেন্টাইন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।  ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে এই দুজনই আর্জেন্টাইন দলে খেলে স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন। সিনিয়র দলের হয়ে সেটাই তাদের প্রথম বড় কোন অর্জন ছিল। যে কারনে অলিম্পিক তাদের ক্যারিয়ারে একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। প্যারিস অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্ট ২৪ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য এবারের কোপা আমেরিকার আসর শেষ হবে ১৪ জুলাই। যে কারনে প্যারিসের জন্য দলগুলো প্রস্তুতির সময় একেবারে নেই বললেই চলে। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা যদি ফাইনালে পৌঁছায় তবে তো কথাই নেই। অলিম্পিকে খেলতে যাবার আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেসি কিংবা ডি মারিয়ার জন্য বিষয়টা মোটেই সহজ নয়।

যদিও অভিজ্ঞ এই দুই খেলোয়াড়ই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে সবসময় প্রস্তুত থাকেন। অলিম্পিকে সাধারনত একটি দেশের অনুর্ধ্ব-২৩ দলের খেলোয়াড়রা খেলে থাকে। তবে তাদের সাথে তিনজন করে সিনিয়র খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পান।আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল এসোসিয়েশন (এএফএ) ইতোমধ্যেই বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে যাবার ব্যপারে আশাবাদী এবং মূল গেমসের জন্য যাবতীয় পরিকল্পনাও তারা করে ফেলেছে। দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্ব গতকাল থেকে শুরু হয়েছে, যা শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। ১০ দলের এই বাছাইপর্ব থেকে দুটি দল প্যারিসে খেলার সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ জেভিয়ার মাচেরানোর অধীনে আর্জেন্টিনা অনুর্ধ্ব-২৩ দল তাদের বাছাইপর্ব শুরু করেছে। 

২০০৮ সালে মেসি ও ডি মারিয়া একসাথে প্রথম বড় কোন সাফল্য পেয়েছিলেন। এরপর একে একে জয় করেছেন ২০২১ কোপা আমেরিকা, ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০২২ ফিনালিসিমা। দুজন মিলে আবারো সেই শুরুতে ফিরে যেতে চাচ্ছেন। ফাইনালে নাইজেরিয়াকে ১-০ গোলে পরাজিত করে আর্জেন্টিনা বেইজিং অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয় করেছিল। দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ডি মারিয়া। মেসির আন্তর্জাতিক সাফল্য কখনোই ডি মারিয়াকে ছাড়া অর্জিত হয়নি। ২০০৫ সালে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ দিয়ে এই জুটির যাত্রা শুরু হয়। ফাইনালে মেসির জোড়া গোলে নাইজেরিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনার যুব দল। এরপর ডি মারিয়া ২০০৮, ২০২১ ও ২০২২ সালে বৈশ্বিক মঞ্চে নিজেকে প্রমান করেছেন। 

কিন্তু ২০২৪ কোপা আমেরিকার পর ডি মারিয়া অবসরের ঘোষনা দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টের ভিত্তিতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে এই সিদ্ধান্ত তিনি হয়তোবা অলিম্পিক পর্যন্ত স্থগিত করতে পারেন। যদিও কোন কিছুই এখনো তিনি জনসমুক্ষে প্রকাশ করেননি। যে কারনে ডি মারিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা। খেলোয়াড় হিসেবে মেসি, ডি মারিয়ার সঙ্গে মাচেরানোও বেইজিং অলিম্পিকের দলে ছিলেন। গত বছর তিনিই প্রথম মেসিকে প্যারিস অলিম্পিকে খেলানোর বিষয়টি সামনে আনেন। ৩৭ বছর বয়সী মেসিকে প্যারিস অলিম্পিকে খেলোয়াড় হিসেবে দেখার ইচ্ছার কথা জানিয়ে রেখেছেন আইওসির প্রধান টমাস বাখও। 

অক্টোবরের শেষ দিকে টমাস বাখ বলেন, ‘আমি কোচের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে মেসি নতুন ইতিহাস লিখলে সেটা চমৎকার ব্যাপারই হবে। প্যারিসে তার উপস্থিতি অলিম্পিক গেমসের জন্য, ফুটবলের জন্য দারুন কিছুই হবে। প্যারিসে তাকে পাওয়ার আশা আমরা করতেই পারি।’

সূত্র : বাসস