সাইমনের পদত্যাগ নিয়ে কাঞ্চন-নিপুণের অভিযোগ

সাইমনের পদত্যাগ নিয়ে কাঞ্চন-নিপুণের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচিত সহসাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সাইমন সাদিক। এতে নায়ক জানান, সাম্প্রতিক সময়ের কিছু অনিয়ম নিয়ে সংগঠনটি চুপ থাকায় বিষয়টি মানতে পারেননি। সাইমনের এই পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি কয়েক দিন ঢাকায় ছিলাম না। শুটিংয়ের জন্য আউটডোর যেতে হয়েছিল। শুনলাম সাইমন পদত্যাগ চেয়েছে।’

সাইমনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পর সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ পদ সহসাধারণ সম্পাদক। সাইমন নিজে কেন অন্যান্য সংগঠনকে নিয়ে প্রতিবাদ করেনি? ১৯ সংগঠন মিলে চলচ্চিত্রের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

শুধু শিল্পী সমিতিকে দোষারোপ করছে কেন সাইমন? বাকি সংগঠনগুলো নিয়েও কথা বলুক। আগেও যখন ছবি আমদানি হয়েছে তখন সে চুপ ছিল, আর এখন নিজের ছবির সময় প্রতিবাদী—এটা তো ভালো দেখায় না।’

এদিকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, সাইমনের অভিযোগ সঠিক নয়। ‘হুব্বা’ মুক্তিতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। ছবিটি এসেছে সাফটা চুক্তির মাধ্যমে, আমদানি নীতিতে নয়। 

আর সাফটা চুক্তি হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রযোজক অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে। তার পরও যখন শুনেছি দেশি দুই ছবির সঙ্গে ‘হুব্বা’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে, আমরা ১৯ সংগঠন জরুরি বৈঠক ডেকেছিলাম। কাঞ্চন ভাই ‘হুব্বা’ মুক্তিতে বাধা দিয়েছিলেন। সেটা মানেননি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার আব্দুল আজিজ। অনেকটা পেশিশক্তির জোরে ছবিটি মুক্তি দিয়েছেন। 

এটা নিয়ে প্রযোজক সমিতি কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সমিতির সাবেক সভাপতি ও ১৯ সংগঠনের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু এরই মধ্যে আব্দুল আজিজের প্রযোজক সমিতির সদস্য পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন সর্বসম্মতিক্রমে। তাহলে সাইমন হঠাৎ পদত্যাগ করতে চাইছে কেন? এটা অন্য কারো ইশারায় নয়তো!

গত ১৯ জানুয়ারি মুক্তি পায় সাইমন সাদিক অভিনীত ‘শেষ বাজি’। একই দিনে মুক্তি পেয়েছে পরীমণি ও ডি এ তায়েবের ‘কাগজের বউ’। দেশি এ দুই ছবির সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে ভারতীয় সিনেমা ‘হুব্বা’। বিষয়টি মানতে পারেননি সাইমন। 

তিনি বলেন, ‘নিয়ম না মেনে দেশি দুই ছবির সঙ্গে একই দিনে বিদেশি আরেকটি ছবি মুক্তি পাওয়ায় আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষতি হয়েছে। আমদানি করা ছবিটি দেশের বেশির ভাগ হল পাওয়ায় দেশি ছবি দুটি হল সংকটে পড়েছে। হতাশার বিষয়, এটা নিয়ে আমাদের সমিতি নীরব। 

অবাক হই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সব ক্ষেত্রে যখন স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছি, তখন চলচ্চিত্রশিল্প ক্রমাগত পরনির্ভরশীল হচ্ছে।’