রাবিতে বেড়েছে চুরি-ছিনতাই, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

রাবিতে বেড়েছে চুরি-ছিনতাই, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দশ দিনে পাঁচটি চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।  

তারা বলছেন, ক্যাম্পাসে এভাবে চুরি-ছিনতাই উদ্বেগজনক। ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা কর্মীরা থাকে, হলগুলোতে নিরাপত্তা প্রহরী থাকে। তারপরেও এমন চুরি ঘটনা ঘটছে। সেটা খুবই উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা। 

জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস দোকানের টিন খুলে ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় ৪ হাজার টাকাসহ মালামাল চুরি হয়। ১৯ জানুয়ারি রাতে ওঙ্কার (বইয়ের দোকান) নামে একটি দোকানের সামনে থেকে ১টি বড় লোহার টেবিল বেঞ্চ এবং চা বিক্রেতা এনামুলের দোকান থেকে কয়েকটি লোহার বেঞ্চ চুরি হয়। ১০ জানুয়ারি চারু আড্ডা (ফাস্ট ফুডের দোকান) দোকান থেকে একটি টেবিল, এনামুলের চা-দোকান থেকে দুটি বেঞ্চ চুরি হয়। ২০ জানুয়ারি বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা এলাকা থেকে এক শিক্ষার্থীর টাকার বেগ ছিনতাই হয়েছে। ২১ জানুয়ারি সকালে শহীদ হবিবুর রহমান হলে চুরি করতে এসে আটক হন এক যুবক। চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী দোকানদার রমজান আলী রঞ্জু বলেন, চারপাশে সিসি ক্যামেরা, গেট ও ভবনগুলোতে প্রহরী থাকার সত্বেও চুরির ঘটনা হতাশাজনক। তার ধারণা যারাই চুরি করুক, তারা বেশি দূরের কেউ না। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রহরী ও অন্যান্যদের সঙ্গে এদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। এছাড়া দ্রুত এ ঘটনা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানান ভুক্তভোগী ও শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ৬৪ টা সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবন সংলগ্ন রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫ টা ক্যামেরাগুলো অকেজো। অনেক ক্যামারার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনাও ঘটেছে। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ক্যাম্পাসে চুরি-ছিনতাই তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। অনেক স্থানে সিসি ক্যামেরা নষ্ট করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে চুরির ঘটনাগুলো অনুসন্ধানে কাজ চলছে। তাছাড়া হল ও ভবনের প্রহরীদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় চুরির দায় তাদেরও নেওয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।