যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮. ৬

যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮. ৬

যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮. ৬

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষ জরুরি কোন কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। যশোর বিমান বন্দরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ( ২৩ জানুয়ারি ) যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

যশোরে শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার তাপমাত্রা দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় এবং এই ধারা অব্যাহত থাকার পূর্বাভাসে আজ মঙ্গলবার এদিকে, জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একদিনের জন্য শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শহর ও গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারনের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ নিতে দেখা গেছে মানুষকে। এছাড়াও ঘন কুয়াশায় রাস্তায়  হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়াও গরিব ও দুঃস্থদের মাঝে সরকারি বেসরকারি ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।

শহরের ধর্মতলা এলাকার চা দোকানি আসমা বেগম জানান, সকালবেলা দোকান খুললেও শীতের কারণে তেমন লোকজনের দেখা নেই। বেসা বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে।

ইজিবাইক চালক হাফিজুর রহমান জানান, পেটের দায়ে রাস্তায় বের হয়েছি। এখন রাস্তায় বের হয়ে দেখছি লোকজনের দেখা নেই। চারজনের সংসার চালাতে হবে না এসে তো উপায় নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, আমরা ৬১ হাজার কম্বল সরকারিভাবে বরাদ্দ ছিল। সেগুলো ইতিমধ্যে উপজেলা এবং মাটপর্যায়ে বিতরণ করা হয়ে গেছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে, আসলে পুনরায় বিতরণ করা হবে।