অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মমতা

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মমতা

ফাইল ছবি।

অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। একটু হলেই গুরুতর সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়তে বসেছিল তাকে বহনকারী গাড়ি। তবে চালক দ্রুত ব্রেক কষায় জোরে ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায় গাড়িটি। এসময় আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। কপাল ফেটে রক্ত বেরোয় তার। এর জন্য অবশ্য হাসপাতালে যাওয়া লাগেনি। কপালে ব্যান্ডেজ লাগিয়েই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে নিজেই জানান দুর্ঘটনার কথা।

জানা যায়, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বর্ধমানের গোদার মাঠে প্রশাসনিক সভা শেষ করে গাড়িতে চড়ে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাকে বহনকারী গাড়িটি জিটি রোডে ওঠার মুখে আরেকটি গাড়ি দ্রুত তাদের সামনে চলে আসে। এসময় জোরে ব্রেক কষেন মমতার গাড়ির চালক। সেই ঝাঁকুনিতেই কপালে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। তবে হাসপাতালে না গিয়ে ওই অবস্থাতেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি।

দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আজ মরেই যেতাম। মানুষের আশীর্বাদে বেঁচে গেছি।

তিনি বলেন, একটা গাড়ি হঠাৎ ঢুকে পড়েছিল। ভালোভাবে দেখতে পাইনি। গাড়িটা ২০০ কিলোমিটার বেগে যাচ্ছিল। আমাদের প্রায় ধাক্কাই মেরে দিয়েছিল। আমার গাড়ির চালক বুদ্ধিমানের কাজ করেছে। দ্রুত ব্রেক কষেছে। না হলে মরেই যেতাম। মাথায় আঘাত লেগেছে। রক্ত পড়েছে। এখনো ফুলে আছে। এই নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ড্যাশবোর্ড মাথায় লেগেছে। আমার গাড়ির কাচ খোলা ছিল। কাচ বন্ধ থাকলে ভেঙে চুরমার হয়ে যেতো।

তবে হাসপাতালে যাচ্ছেন না মমতা। তিনি বলেন, মাথা টনটন করছে। ওষুধ খেয়েছি। এবার বাড়ি যাবো।

এই ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, এটি পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। এর আগে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

গত বছর জুন মাসে জলপাইগুড়ি থেকে সভা শেষ করে হেলিকপ্টারে চড়ে কলকাতায় ফিরছিলেন মমতা ব্যানার্জী। সেই সময় খারাপ আবহাওয়ার জন্য তার হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হয়। সেবক এয়ারবেসে সেই হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ করানো হয়।

কপ্টার নামার সময় পায়ে এবং কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। হাঁটুতে আঘাত লেগে পায়ের লিগামেন্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার। এরপর বাড়িতে থেকেই বেশ কিছুদিন চিকিৎসা চলে মমতার।