সৈন্য প্রত্যাহারে শিগগিরই ইরাকের সাথে আলোচনা শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র : সিএনএন

ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারে শিগগিরই দেশটির সাথে আলোচনা শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন একথা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেন্টাগন জানিয়েছে, আলোচনা শুরুর মাধ্যম হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক গত গ্রীষ্মে একটি উচ্চ সামরিক কমিশন গঠনে সম্মত হয়েছিল। একটি ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো মার্কিন ও ইরাকি কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা মার্কিন নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী জোটের পরবর্তী পর্যায় নিয়ে গুরুত্ব দেবে। এ আলোচনায় মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন চায় সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচিতে ইরাকের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার স্থিতিশীলতার প্রতিফলন ঘটাতে। পরিবর্তে, ইরাকি নেতৃত্ব বিশ্বাস করে, প্রত্যাহারের সময়সীমা কোনো অবস্থাতেই প্রভাবিত হওয়া উচিত হবে না।ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী ৫ জানুয়ারি বলেছেন, আন্তর্জাতিক জোট ইরাকের মাটিতে তাদের উপস্থিতির ন্যায্যতা ফুরিয়ে গেছে এবং বাগদাদ দেশে বিদেশী সামরিক উপস্থিতি শেষ করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

তিনি আরো বলেন, ইরাক সরকার বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি মোকাবেলা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি দ্বিপক্ষীয় কমিশনের কাঠামোর মধ্যে আলোচনা শুরুর তারিখ নির্ধারণের প্রক্রিয়াধীন ছিল।বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় আবু তাকওয়া নামে হারাকাত আল-নুজাবা আন্দোলনের এক নেতা নিহত হওয়ার পর এই বিবৃতি এসেছে।পরিবর্তে, পেন্টাগন ৮ জানুয়ারি বলেছিল, তারা এই মুহূর্তে ইরাক থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে না।

বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা ইরাকের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে।প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র প্যাট রাইডার বলেছেন, তিনি ইরাক সরকারের দায়ের করা ইস্যুতে কোনো অনুরোধ সম্পর্কে অবগত নন।তিনি আরো বলেন, ইরাকের বৈধ সরকারের অনুরোধে মার্কিন বাহিনী দেশটিতে অবস্থান করছে।

সূত্র : বাসস