বরগুনায় ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

বরগুনায় ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

সংগৃহীত

বরগুনায় কারেন্ট জাল বিক্রি বন্ধে শহরের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় এক ব্যক্তিতে এক বছরের জেল ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। এছাড়াও আর ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেবের নেতৃত্বে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন দোকানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-মামুন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন।

মৎস্য অধিদফতর বরগুনা অফিস সূত্রে জানা যায়,  অভিযানে মেসার্স মুন্সী এন্টারপ্রাইজ ও হাওলাদার স্টোর নামের একটি জাল বিক্রির দোকান থেকে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের (আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার মিটার) কারেন্ট জাল ও দু’টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ জাল বিক্রির অপরাধে মুন্সি এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আব্দুর রবকে এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। এছাড়া হাওলাদার স্টোরের দোকানিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে জনসম্মুখে জব্দ করা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও দু’টি বেহুন্দি জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. মাহমুদুল হাসান, মেরিন ফিশারিজ অফিসার মো. নাজমুস সাকিব, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নয়ন চন্দ্র শীল, মৎস্য দফতরের সদস্যরা এবং পুলিশ সদস্যরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বরগুনা শহরের জালের দু’টি দোকান এবং সাতটি গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। দু’জন অসাধু কারেন্ট জাল বিক্রেতাকে কারেন্ট জাল মজুদ এবং বিক্রির দায়ে আটক করা হয়। এসময় ৩২ বস্তা কারেন্ট জাল (আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার মিটার) এবং দু’টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।