জর্ডানে ড্রোন হামলায় নিহত মার্কিন সেনাদের নাম প্রকাশ

জর্ডানে ড্রোন হামলায় নিহত মার্কিন সেনাদের নাম প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

রোববার (২৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে জর্ডানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সেনাঘাঁটিতে ব্যাপক ড্রোন হামলা হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন মার্কিন সেনা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জর্ডানে সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত তিন সেনা সদস্যের পরিচয় প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। এ হামলায় আহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি সেনা। এদের মধ্যে আটজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইরাকের বাগদাদে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর বিবিসির।

নিহতরা হলেন- কেনেডি ল্যাডন সেন্ডার্স (২৪), ব্রিয়োনা এলেক্সোন্দ্রিয়া মোফেট (২৩) এবং সার্জেন্ট উইলিয়াম জেরোমি রিভার্স (৪৬)। এদের সবাই ৭১৮তম ইঞ্জিনিয়ার কোম্পানিতে কর্মরত ছিল। এর আগে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের দ্য ইসলামিক রেজিস্টেন্স নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। যদিও, এ হামলার পেছনে ইরানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটনের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে তেহরান।

এদিকে টাওয়ার টুয়েন্টি টু সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না জড়িয়ে নিজ সেনাদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। শুধুমাত্র এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন। জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরানে হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। তার সাথে সুর মিলিয়েছেন আরও কয়েকজন মার্কিন রাজনীতিক।

জর্ডানে ড্রোন হামলায় মার্কিন তিন সৈন্য নিহতের ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে এ ঘটনাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ভয়ংকর দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন।

জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী। গোষ্ঠীটি নিজেদের ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যানস’ দাবি করে বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ‘ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের জবাব’ হিসেবে চার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।

জর্ডানের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনার মৃত্যুর ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বাইডেনের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।