এক গুদামেই মিলল ২৯১ মেট্রিক টন চালের অবৈধ মজুত

এক গুদামেই মিলল ২৯১ মেট্রিক টন চালের অবৈধ মজুত

সংগৃহীত

রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারের হুঁশিয়ারি ছিল, অবৈধ মজুদদারদের ছাড় দেয়া হবে না। এবার খাদ্যমন্ত্রীর জেলা নওগাঁয় অবৈধ ধান ও চালের মজুদ রুখতে বিভিন্ন গুদামে ও চালকলে হানা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নওগাঁর সদর উপজেলায় একটি চালকলের গুদামে অবৈধভাবে ২৯১ মেট্রিক টন চাল মজুত রাখার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া মজুত করা চাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে আগামী সাত দিনের মধ্যে বাজারজাত করার নির্দেশ দেন আদালত।

জানা গেছে, নওগাঁ পৌরসভার লস্কপুর এলাকায় ঘোষ অটোমেটিক রাইস মিলে এ অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। ওই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসাইন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পৌরসভার লস্করপুর এলাকার ঘোষ অটোমেটিক রাইস মিলের একটি গুদামে বিপুল পরিমাণ চাল অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে বলে গোপন তথ্য পাওয়া যায়। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওই গুদামে অভিযান চালিয়ে ২৯১ মেট্রিক টন চালের মজুতের সত্যতা মেলে। অবৈধভাবে চাল মজুতের দায়ে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক দ্বিজেন চন্দ্র ঘোষকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫৬–এর ১২ ধারায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।এছাড়া মজুত করা চাল মঙ্গলবার থেকে সাত দিনের মধ্যে বাজারজাত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্যপণ্য মজুত করে মূল্যবৃদ্ধির পায়তারা করছেন। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিরোধে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে তদারকি অভিযান জোরদার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ১৫ জানুয়ারি থেকে নওগাঁয় মজুতবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ধরনের মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ পর্যন্ত নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান, চাল, গমসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য মজুতের দায়ে ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি নওগাঁর মান্দায় মাসুদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গুদামে অভিযানে চালিয়ে ১২৮ মেট্রিক টন গমসহ সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা অবৈধভাবে মজুত করার দায়ে মাসুদ রানা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।